নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৮ এএম, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮
বহুল আলোচিত-সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হয়েছে গত ১৯ সেপ্টেম্বর। এরপর রাষ্ট্রপতির সম্মতি সাপেক্ষে গত ৮ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকরও করা হয়েছে। এই আইনে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা, প্রচারণা চালালে অথবা ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা, অশ্লীল তথ্য প্রচার করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের পর আশা করা হয়েছিল, সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে তথ্য সন্ত্রাসের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা রোধ করা সম্ভব হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাস্তবে এই প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এখনো মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষ। ডিজিটাল আইন তাঁদের কর্মকাণ্ডের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নিয়মিত কুৎসা রটনা করে যাচ্ছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী সাংবাদিক মিনা ফারাহ। জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে নিজস্ব চ্যানেল খুলে তিনি নিজের মনমতো মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজের ভিডিওতে মিনা ফারাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়েছেন, করেছেন ‘শেখ পরিবার’ গণভবন দখল করে রেখেছে এমন সব মন্তব্য। এছাড়া জামাতের পত্রিকাগুলোতে কলাম লিখে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত বিকৃত তথ্য উপস্থাপনেও তাঁর কোনো অলসতা নেই।
আরেক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম। ইউটিউবে ‘বাংলা ইনফো টিউব চ্যানেল’ খুলে ক্রমাগত সরকারবিরোধী মিথ্যা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই উদ্দেশ্যে ‘সরকার-হেফাজত: কাছে আসার গল্প’ এর মতো আপত্তিকর ট্যগলাইনও ব্যবহার করতে দেখা গেছে তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরির অভিযোগও রয়েছে শাহেদ আলমের বিরুদ্ধে।
অনলাইন জগতের আরেক কুখ্যাত ব্যক্তি সেফাত উল্লাহ্ ওরফে সেফুদা। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, পুলিশের আইজি কাউকে নিয়েই কুৎসা রটনা করতে বাকি রাখেননি তিনি। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্পর্কে ছাপার অযোগ্য, অশ্লীল সব মন্তব্য করে ভাইরাল অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফাত উল্লাহ্। সেফাত উল্লাহর ভিডিও ইউটিউব ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
এছাড়া পুরনো পাপী ‘বাঁশের কেল্লার’ কথা না উল্লেখ করলেই নয়। ফেসবুকের এই পেইজটি একাত্তরের চেতনা বিরোধী অপশক্তি দ্বারা পরিচালিত। দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সম্পর্কে মিথ্যা অপপ্রচার করে আসছে পেইজটি। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময় ‘বাঁশের কেল্লার’ ছড়িয়ে দেওয়া মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু কখনোই কোনো আইনের আওতায় আসতে হয়নি পেইজটিকে।
শুধু বাঁশের কেল্লাই নয়, মিনা ফারাহ, শাহেদ আলম কিংবা সেফুদা সবাই মিথ্যা প্রপাগাণ্ডার মাধ্যমে সামাজিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখলেও সবসময়ই আইনের আওতার বাইরে থেকেছেন। আশা করা হয়েছিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের ফলে এই ধরনের ব্যক্তিদের ওপর আইন প্রয়োগ করা সম্ভব হবে, সম্ভব হবে তাদের সকল অপপ্রচার বন্ধ করা। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যদি এসব তথ্য সন্ত্রাস বন্ধই করতে না পারে তাহলে কার জন্য এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন?
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।