নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮
ব্যরিস্টার মইনুল হোসেন গ্রেপ্তার হবার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতারা। ডা. জাফরুল্লাহ’র বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মান্নাও পুরনো মামলায় জামিনে আছেন। মামলা আছে ঐক্য ফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত বিএনপির তিন নেতার বিরুদ্ধেও। মামলা নেই জেএসডির আ.স.ম আবদুর রবের এবং গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধেও। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা জেএসডির আ.স.ম আবদুর রব বলেছেন, ‘মামলা নাই। মামলা হতে কতক্ষণ। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট নিয়ে আওয়ামী লীগ যে আতঙ্কিত তা বোঝা যাচ্ছে।’ রব বলেন ‘ক্ষমতাসীন সরকার যে ভয় পেয়েছে এই ঐক্যে তা সরকারের কার্যক্রমেই ফুটে উঠেছে।’ তবে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অবশ্য তা মনে করছেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। তবে, অবশ্যই তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তারা যে আদর্শহীন একটি ঐক্য তা জনগণের সামনে উপস্থাপন করা আমাদের দায়িত্ব।’
তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, শুরু থেকেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সরকার মনে করছে, বিএনপি রাজনৈতিক মাঠ দখলের কৌশল হিসেবেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। ঐক্যফ্রন্ট যেন নির্বাচন বানচালের জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ না করতে পারে সেটাই সরকারের লক্ষ্য। আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যদি নির্বাচনী মোর্চা হয় তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু তাদের কাজকর্ম এখন পর্যন্ত নির্বাচনমুখী নয়। বরং নির্বাচন বানচালের জন্যই তারা ৭ দফা দিয়েছে কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে।’ আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ৭ দফা দাবিতে রাস্তায় যেন কোনো আন্দোলন না হয় সেটা আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ নির্বাচন বিরোধী কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিই দানা বাঁধতে দেবে না।
সরকার মনে করছে, শুধু বিএনপি নয়, জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টেও নির্বাচন বিরোধী শক্তি আছে। যারা মনে করছে, সিংহ ভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করলেই, সরকারের জন্য নির্বাচন করা কঠিন হয়ে পড়বে। জে এসডি নেতা আ স ম আবদুর রব মনে করেন,’এবার সরকার ২০১৪’র মতো নির্বাচন করতে পারবে না। সরকারকে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতেই হবে।‘ ঐক্য ফ্রন্তের ঐ নেতা মনে করেন,’আমাদের আন্দোলন করতে হবে না, জনগণই আন্দোলন করবে।‘
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট যদি নির্বাচন বানচাল বা বয়কট করতে চায়, সেক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর হতেই হবে। সেক্ষেত্রে শুধু ব্যারিস্টার মইনুল নয়, সামনে ঐক্যফ্রন্টের অনেক নেতাই গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে আভাষ পাওয়া গেছে। সরকার ঐক্যফ্রন্টকে চাপে রেখে নির্বাচনে নিতে চায়। আর সে কারণেই শুরু থেকেই ঐক্যফ্রন্টকে কোন ছাড় দিচ্ছে না সরকার। বরং তাদের বিরুদ্ধে পুরনো মামলাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।