নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৮ এএম, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির ঘটনায় রংপুরে করা একটি মানহানির মামলায় সোমবার রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে মইনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সরকারবিরোধী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় মইনুলকে গ্রেপ্তার করা হয় ফ্রন্টনেতা আ স ম রবের বাড়ি থেকে।
মঙ্গলবার দুপুরে মইনুলকে ঢাকার আদালতে নেওয়া হয়। তার পক্ষে জামিনের আবেদন হলেও তা নাকচ করে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নারী সাংবাদিককে কটূক্তির ব্যাপারে হয়রানির অভিযোগ করে নিন্দা বা উদ্বেগ না জানানোয় ঐক্যফ্রন্ট ত্যাগ করার পাশাপাশি ড. কামালকে ভিতু বলে আখ্যা দিয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। দুটি টেলিফোন আলাপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে, ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন এক বিবৃতিতে বিভিন্ন অজুহাতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
সোমবার রাতে গ্রেপ্তারের আগে ড. কামালের কাছে ব্যারিস্টার মইনুল তাকে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নিন্দা জানাতে বলেন। জবাবে এমন কিছু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ড. কামাল।
ফোনালাপ:
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন; কামাল ভাই, আমার যা মনে হয় আপনারা কিছু করতে পারেন কিনা? আপনি বলেন যে মামলা দিয়ে তাকে হ্যারাস করা হচ্ছে যেন ঐক্য প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি করতে না পারে। আমি মনে করি ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটি রিঅ্যাকশন দেয়া উচিত।
ড. কামাল হোসেন: দেখেন ঐক্যফ্রন্টকে আমি এগুলোর মধ্যে টানতে চাচ্ছি না, এই পলিটিক্সটার মধ্যে।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন; আপনি থাকেন কামাল ভাই। আই গো, আই অ্যাম নট ইন দ্যা ফ্রন্ট।
ব্যারিস্টার মইনুল ড. জাফরুল্লার কাছে ফোন করে কামাল হোসেনকে কাওয়ার্ড ও ভিতু বলে।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন: আমি আমার নিজের ঐক্যফ্রন্টে থাকবো। কামাল হোসেনের ফ্রন্টে আমি নাই। দেখি তার ঐক্যফ্রন্টে কয়জন থাকে।
ডা.জাফরুল্লাহ: আমরা যদি এই সময় একে অপরের পাশে না দাঁড়াই...
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন: আমি শুধু তাকে বললাম বিবৃতি দেন যে, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মামলার বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। উইদাউট ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন কিসের ঐক্যফ্রন্ট।
ডা.জাফরুল্লাহ: খুবই খারাপ কাজ এটা, খুবই খারাপ।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন: সে তো একটা কাওয়ার্ড, কোন কাজের লোক না।
ডা.জাফরুল্লাহ: কাওয়ার্ড, কাওয়ার্ড।
অডিও লিংক:
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।