নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮
নির্বাচনে তফসীল ঘোষণার আগে মন্ত্রীসভায় রদবদল হতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রীসভায় কয়েকজন নতুন সদস্যের শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি তারা শুরু করেছেন। তবে মন্ত্রিসভায় থাকার কিংবা কেউ বাদ পরবেন কিনা, সে সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কিছু জানে না বলে, বিভাগের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৪/৫ জন নতুন মন্ত্রী আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শপথ নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪’র ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার আকৃতি ছোট করেছিলেন। পুরোনো অনেক মন্ত্রীকে বাদ দিয়ে মন্ত্রিসভায় আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, রওশন এরশাদ সহ বেশ ক’জন নতুন মুখ নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মন্ত্রিসভা ছোট করলে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হতে পারে। অনেকগুলো প্রকল্প চলছে।’ তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রিসভা ছোট হবে কিনা তা একান্তই প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাধীন একটি বিষয়। তবে, মন্ত্রিসভা ছোট না হলেও মন্ত্রিসভায় যে পরিবর্তন আসছে তা মোটামুটি নিশ্চিত। একাধিক নতুন মুখ তফসিল ঘোষণার আগেই মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ অথবা রওশন এরশাদের মধ্যে থেকে একজন মন্ত্রীসভার সদস্য হবেন, সেটি মোটামুটি নিশ্চিত। আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে একজন মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। যিনি মনোনয়ন পাবেন না, এরকম একজন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন, তা মোটামুটি নিশ্চিত। প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে থেকে আবদুল মতিন খসরু নতুন মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। সিলেটে বিদ্যমান বিরোধ মীমাংসার কৌশল হিসেবে মিসবাহ উদ্দিনকে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। পাবনায় অধ্যাপক আবু সাইয়ীদকে মনোনয়ন দেয়া হলে, শামসুল হক টুকুকে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা আছে। রংপুর থেকে আশিকুর রহমান অথবা টিপুমুন্সী মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। শেষ পর্যন্ত যদি
গোপালগঞ্জ থেকে কর্নেল (অব: ফারুক খান নির্বাচন না করেন, তাহলে তিনিও মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বলে একটি সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে। খুলনা অঞ্চল থেকে সদ্য উপ নির্বাচনে বিজয়ী সালাম মুর্শেদীকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনটি বিষয় বিবেচনায় রেখে মন্ত্রীসভায় রদবদল হতে পারে।
প্রথমত; জাতীয় পার্টি সহ অন্যান্য বিরোধী দলকে নির্বাচনের মাঠে রাখার জন্য।
দ্বিতীয়ত; বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধিত্ব রাখা, যেন নির্বাচনে তা ইতিবাচক ফলাফল রাখে।
তৃতীয়ত; যাদের মনোনয়ন দেয়া হবে না, অথচ বিভিন্ন সময়ে যাদের অবদান আছে এমন ব্যক্তিদের।
তবে, আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, মন্ত্রীসভায় কারা থাকবেন, কারা বাদ পড়বেন তা একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।