নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দলের সভাপতি মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগটি খতিয়ে দেখার জন্য নিজস্ব অনুসন্ধান টিম গঠন করেছেন। মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও কঠোর বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। শেখ হাসিনা জানিয়ে দিয়েছেন, জরিপের ভিত্তিতেই মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে, তৃণমুলের মতামতের ভিত্তিতে নয়। আগামীকাল শুক্রবার গণভবনে এনিয়ে আওয়ামী লীগের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সভায় মনোনয়ন নিয়ে কাউকে বিভক্তি না আনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করে দলের মনোনয়ন বোর্ড। দলের সভাপতি এই মনোনয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। ২০০৮ সাল থেকে তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি নির্বাচনী এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ নির্বাচিত প্রতিনিধি, আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সমন্বয়ে এই মনোনয়ন কমিটি গঠিত হয়। মনোনয়ন কমিটি ভোটের মাধ্যমে অথবা সর্বসম্মতভাবে একক বা একাধিক নাম সংসদ নির্বাচনের জন্যে গঠিত কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে প্রেরণ করে। মনোনয়ন বোর্ড এই তালিকা থেকে সার্বিক বিবেচনা থেকে একজনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে এরকম বেশ কিছু তথ্য এসেছে যে, বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী প্রার্থীরা তৃণমূলের মনোনয়ন কমিটি কিনে ফেলার চেষ্টা করছেন। তৃণমূলকে তাঁরা ম্যানেজ করছে, যে কেন্দ্রে শুধু তাঁর নামই যায়। অধিকাংশ এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কমিটি, ইউপি চেয়ারম্যান, নারী প্রতিনিধিদের কদর বেড়েছে। তৃণমূল থেকে যেন প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম যায়, এজন্য সব কৌশলই অবলম্বন করছেন মনোনয়ন ইচ্ছুকরা।কেউ কেউ ভয় ভীতিও দেখাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশী চেষ্টা হচ্ছে তৃণমূলকে কিনে ফেলার। যেসব এলাকায় মনোনয়ন এখনও চূড়ান্ত নয় সেই সব এলাকায় এ ধরনের ঘটনা বেশী ঘটছে। ঐ সব মনোনয়ন লাভে ইচ্ছুকরা এখন জনগণের কাছে যাওয়ার আগে স্থানীয় নেতাদের কাছেই ধর্ণা দিচ্ছেন।
এক সময় আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ দেশের প্রধান দলগুলোর মনোনয়ন কমিটির কাছে ধর্ণা দিতো মনোনয়ন লাভে ইচ্ছুক প্রার্থীরা। এসময় মনোনয়ন বানিজ্যের অভিযোগ উঠতো মনোনয়ন কমিটির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় মনোনয়ন কমিটির সদস্যদের একক ইচ্ছায় প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষমতা খুবই কম। বিশেষ করে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের দেয়া হয়, তথ্য উপাত্ত এবং জরিপ রিপোর্ট। এখন একজন সদস্য চাইলেই তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ‘খাওয়াতে’ পারেন না। কিন্তু এখন মনোনয়ন বাণিজ্য তৃণমূলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্যের খবর দলের সভাপতির কাছে এসেছে। এজন্য এবার তৃণমূল থেকে পাঠানো প্রস্তাবের সঙ্গে যদি জরিপের গড়মিল হয়, তাহলে ঐ তৃণমূলের মনোনয়ন কমিটিকেই জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন