নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮
নির্বাচন পেছানো নিয়ে যে উদ্যোগ মার্কিন দূতাবাসসহ কূটনৈতিকরা গ্রহণ করেছে, ভারত তা নাকচ করে দিয়েছে। বরং ভারত মনে করছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশে নির্বাচন হোক, এটাই ভারতের আকাঙ্খা। সম্প্রতি উপ সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস জি ওয়েলস বাংলাদেশ সফর করে বিভিন্ন মহলের কাছে সংবিধানের ১২৩ এর (খ) ধারা অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচন মার্চ-এপ্রিলে করার ব্যাপারে প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবটি লুফে নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপিসহ সরকারের অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
তবে সরকার বলেছে, সেভাবে নির্বাচনে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোন কারণে সংসদ ভেঙ্গে গেলেই কেবল সংবিধানের ১২৩ এর ‘খ’ ধারা প্রযোজ্য হবে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে সংসদের মেয়াদ অবসান হলে তখন ১২৩ এর ‘খ’ কোন ভাবেই প্রযোজ্য হবে না।
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ১২৩ এর ‘খ’ হলো আনপ্রিসিডেন্টেড একটা ব্যাপার। দেশে অনাকাঙ্খিত কোন পরিস্থিতি যদি তৈরি হয় বা কোন কারণে যদি সংসদ নেতা মনে করেন, তিনি সংসদ ভেঙ্গে দেবেন বা এমন কোন পরিস্থিতি যদি তৈরি হয় যে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে বা যদি সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয়, সে রকম অবশ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ১২৩ এর ‘খ’ ধারা প্রবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বর্তমান সংসদ অন্য কোন কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে না বরং সংসদের স্বাভাবিক মেয়াদের অবসান ঘটছে। কাজেই মেয়াদ অবসানের ৯০ দিনের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে।
মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট গত সপ্তাহ জুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তাবনা নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছেন এবং তিনি আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতার সঙ্গেও এই নিয়ে অনেক আলাপ আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয়ান ইউনিয়নও চাইছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা ন্যূনতম সমঝোতা। ঐক্যমত সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচন যেন গ্রহণযোগ্য সাংবিধানিক সময়সীমার মধ্যে পিছিয়ে দেয়া হয়।
তাঁরা মনে করছে, এখন যদি নির্বাচন তফসীল ঘোষণা করা হয়, তাহলে আলাপ-আলোচনার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। আবার বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জনের পথে হাটতে পারে বলেও তাঁরা আশঙ্কা করছে। এমনকি যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এমন তথ্যও পেয়েছে, এক তরফা নির্বাচন হলে এবার জাতীয় পার্টিও নির্বাচন বর্জন করতে পারে। একতরফা নির্বাচন হলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা যেমন প্রশ্নের মুখে পড়বে, তেমনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও জনগণের অধিকারও লঙ্ঘিত হতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছে।
তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহন করবে এবং নির্বাচন সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ীই হবে। তিনি বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, মেয়াদ অবসানের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমরা যতোদূর জানি, নির্বাচন কমিশন নির্বাচেনের তফসীল ঘোষণার জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত। এটা নিয়ে যারা বিতর্ক করছে, তাঁরা নির্বাচন বানচালের সহযোগিতা করছে এবং দেশে সাংবিধানিক সংকটের চক্রান্ত করছে বলে তিনি মনে করেন।
আওয়ামী লীগের এই অবস্থানের সঙ্গে ভারতও সমমত পোষণ করেছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। কারণ ভারত মনে করছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশের নির্বাচন হয়ে যাওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারতের লোকসভার নির্বাচন আগামী বছর এপ্রিলে হওয়ার কথা। কাজেই, ডিসেম্বরের পর থেকে ভারতের রাজনীতি এবং বিভিন্ন ক্রিয়াশীল শক্তিগুলো ভারতের নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত থাকবে। এজন্য তাঁরা সে সময় বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে নজড় দিতে পারবে না ও বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাতেও পারবে না। এজন্য ভারত চাইছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। ডিসেম্বরেই নির্বাচনের জন্য ভারত বিএনপি, জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট সংলগ্ন দলগুলোকে নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন রকম কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।