নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৭ অক্টোবর, ২০১৮
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান লে. জে. (অব.) হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় ছিল তা এখন নেই। যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছিল তাঁরা ব্যর্থ হয়েছে। এখন মাঠে শুধু আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি আর বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দলের নির্বাচনী প্রচারণার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জাপা চেয়ারম্যান একথা বলেন। দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফয়সাল চিশতি, সুনীল শুভ রায় উপস্থিতিতে এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে জাপা চেয়ারম্যান আগামী নির্বাচনে দলের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তাই দিলেন। আর দীর্ঘদিন ধরেই জাপা নিয়ে চলা নানামুখী বিতর্কের অবসান ঘটল।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট আয়োজিত মহাসমাবেশে এরশাদ বলেছিলেন, ‘আর কয়েক মাস পরই নির্বাচন। এ নির্বাচন আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না, এ নিয়ে আমি প্রবল আশঙ্কায় আছি। আমরা যেকোনো মূল্যে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই।’ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজের আশঙ্কার কথা বলার এক সপ্তাহের মাথায় জাপা চেয়ারম্যান সেই সংশয় এখন তাঁর আর নেই, কেটে গেছে বললেন। তবে এর আগে নির্বাচন নিয়ে সংশয় থাকার কারণ যেমন বলেননি, তেমনি আজও বলেননি কেন, কীভাবে তিনি সংশয়মুক্ত হলেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের আগে ও পরে এরশাদের হঠাৎ বিদেশ গমন। একই সময়ে একই দেশে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের অবস্থান নিয়ে অনেক আলোচনা দেখা দেয় রাজনৈতিক মহলে। জানা যায়, ড. কামাল ও এরশাদের সাক্ষাৎও হয়েছে। এ থেকে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও ঐক্যফ্রন্ট কোনো সম্পর্ক হতে যাচ্ছে কিনা- তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
একাধিক সূত্র বলছে, এক্যফ্রন্ট নিয়ে প্রাথমিক ভাবে হয়তো এরশাদের আগ্রহও ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তাদেরই (ঐক্যফ্রন্টের) মধ্যেকার বিরোধ ও বর্তমান বিএনপি সর্বস্ব অবস্থা দেখেই অবস্থান পরিবর্তন করেছে জাপা। আজ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বা আলাদা নির্বাচনের ফর্মুলাও দিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান।
জাপা চেয়ারম্যান হু. মু. এরশাদ বলেছেন, বিএনপি যদি ভোটে আসে তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে জোটগত ভাবে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। আর যদি বিএনপি না আসে তাহলে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী দেওয়া হবে।’ এরশাদ আরও বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।