নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৫ পিএম, ২৭ অক্টোবর, ২০১৮
নবগঠিত ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন নেতা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সুশীল সমাজের লোকজনকে ঐক্যফ্রন্টের কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ঐক্যফ্রন্টে আনার প্রচেষ্টায় মূল ভূমিকা রাখছেন এর আহ্বায়ক ও গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন এবং ডা. জাফরুল্লাহ। ওয়ান ইলেভেনে সময়কার কুশীলব তৎকালীন কয়েকজন উপদেষ্টাকেও ঐক্যফ্রন্টে আনার চেষ্টা চলছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমানকে ঐক্যফ্রন্টে আনার জন্য তোড়জোড় চালানো হচ্ছে। ঐক্যে আনার চেষ্টা হচ্ছে তৎকালীন দুদক চেয়ারম্যান লে. জেনারেল (অব.) হাসান মশহুদ চৌধুরীকে। এছাড়া ঐক্যফ্রন্টে আনার চেষ্টা চলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আরেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল মতিনকেও। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আব্দুল মতিন থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। তাঁকে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন জোটটির কয়েকজন নেতা।
ড. কামাল, ডা. জাফরুল্লাহসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ওয়ান ইলেভেনের সুশীলদের ভেড়ানোর প্রচেষ্টা দেখে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে জোটের অন্যতম প্রধান শরিক বিএনপি। বিএনপি নেতাদের আশঙ্কা, আরেকটি ওয়ান ইলেভেন আনার জন্যই কি এদের জড়ো করা হচ্ছে। বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, দলটির নেতারা যতটা না ঐক্যে সুশীলদের আনতে আগ্রহী, তারচেয়ে বেশি আগ্রহী ড. কামাল হোসেন। আর ড. কামাল হোসেন যেহেতু এরই মধ্যে ঐক্যের অঘোষিত নেতায় পরিণত হয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলও যেহেতু ড. কামালকে নেতৃত্বে দেখতে চাইছে, তাই এ নিয়ে উচ্চবাচ্যও করতে পারছে না। আর ড. কামাল তাঁর মনমতোই ঐক্যফ্রন্টকে সাজানোয় আগ্রহী, এ বিষয়ে তিনি বিএনপি নেতাদের কোনো মন্তব্য বা সুপারিশ নিতে আগ্রহী নন।
আজ চট্টগ্রামে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে বিমানযোগে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়েছিলেন ড. কামাল হোসেন। ওই সময় তাঁর সঙ্গী ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই সময় ড. কামাল বিএনপি মহাসচিবকে স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন আমি পার্টির বুদ্ধিজীবীদের চাইনা। স্পষ্টতই তিনি ড. ইমাজউদ্দিন আহমেদ বা ড. মাহবুব উল্লাহর মতো বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের দিকে ইঙ্গিত করেই কথাটি বলেছিলেন। বরং, যে সমস্ত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আওয়ামী লীগ বিএনপি দুই দলের ব্যাপারেই নেতিবাচক মনোভাবের জন্য পরিচিত, তাঁদেরই দলে ভেড়াতে চান ড. কামাল। উল্লেখ্য, এই বুদ্ধিজীবীরা ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেন প্রবর্তনের ক্ষেত্রে মূল পরিকল্পনাকারী ছিল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে। তাঁদেরই আবার পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ড. কামাল ও জাফরুল্লাহর নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে। সুশীল সমাজের এই প্রতিনিধিরা ঐক্যফ্রন্টে ভিড়লে বিএনপির কী হবে এটাই এখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন।
ড. কামাল হোসেন ঘনিষ্ঠরা বলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ঐক্যফ্রন্টে ভেড়ানোর অন্যতম কারণ হলো, এর চেহারা যেন কোনোভাবেই বিএনপির মতো না মনে হয়। ঐক্য যেন বিএনপির বর্ধিত রূপ বলে জনগণের কাছে প্রতীয়মান না হয়, সে কারণেই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁদের ঐক্যে ভেড়াতে পারলে, দলগত ভাবে বিএনপি ঐক্যে থাকলেও এর অবয়বটা হবে সুশীলদের নিয়ন্ত্রিত। আর এটিই তাঁদের লক্ষ্য।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তারা আসন্ন উপজেলা
নির্বাচনে অংশ নিবে না। আর যদি দলটির কোনো নেতাকর্মী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়
তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি বহিষ্কারও করা হতে পারে
বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
তবে দলের এমন কঠোর হুঁশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন
তৃণমূল বিএনপি’র নেতারা। তারা মনে করছেন, যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়
প্রতীক ব্যবহার করছে না, সে কারণে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করা উচিত হয়নি দলের। বরং এই
নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থীরা দাঁড়ালে তাদের শক্তি সামর্থ্য হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির কেন্দ্র ও তৃণমূলের মধ্যে
চলছে তোলপাড়। বাড়ছে দ্বন্দ্ব এবং দূরত্ব। বর্তমানে যেসকল নেতাকর্মীরা নির্বাচনের মাঠে
রয়েছে তাদের নির্বাচন থেকে ফেরানো নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন বিএনপি’র নীতিনির্ধারকেরা।
তারা মনে করছেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীদের ফেরানো না গেলে পরের ধাপগুলোতে
প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে, আর তাতে দলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ
হবে। এই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ। এরই মধ্যে এই নির্বাচনে বিএনপির ৪৫
নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বিএনপির তৃণমূলের একাধিক নেতা
বলছেন, জাতীয় আর স্থানীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে
তাদের জনপ্রিয়তা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী
থাকবেন। এতে বিএনপির অনেক নেতার সম্ভাবনা আছে জেতার।
অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আশা করে বসে আছেন যে, মনোনয়ন
প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিলের আগেই সবাই ভোট থেকে সরে দাঁড়াবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের
উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক জানান, কেউ যদি দলের নির্দেশনা অমান্য করেন তাহলে কঠোর
সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা
নির্বাচনে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের
প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি এক সংবাদ
বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাদের দাবি এ নির্বাচন হচ্ছে
‘প্রহসনমূলক নির্বাচন’।
কিন্তু কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া
হলেও সারা দেশের নেতাকর্মীদের অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
যারা বিগত সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তারা
নির্দলীয় ব্যানারে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। আর যেহেতু তারা স্বতন্ত্রভাবেই নির্বাচন
করার প্রস্তুতি নিয়েছেন সেজন্য লন্ডন বা দলের কেন্দ্রীয় মহলের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়
থাকছেন না।
নির্বাচনে আগ্রহী ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ যুবদলের সহসভাপতি মাজহারুল
ইসলাম জুয়েল বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে এবং তাদের সংঘবদ্ধ করতেই উপজেলা
পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন
অংশ নিলে বহিষ্কারও করতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে ত্রিশাল উপজেলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে
গণসংযোগ করছি, তাদের সঙ্গে কথা বলছি। তবে জনগণ চায় আমি নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের
প্রতিনিধি হই।
এছাড়াও ত্রিশাল উপজেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার শাদাত বলেন, আমার বাবা
বিএনপি থেকে ত্রিশালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। আমার বাবার
ইচ্ছা ছিল আমিও জনপ্রতিনিধি হই। তার ইচ্ছাতেই বিএনপির সঙ্গে আছি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
অংশ নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
দলীয় সিদ্ধান্তে বহিষ্কার করলেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে জনগণের সেবা করতে
চাই। যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় কোনও প্রতীক থাকবে না, সেই বিবেচনা থেকে
আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদল সাধারণ
সম্পাদক আল মামুন বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে দলের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার জন্য এবার
তিনি চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দুবারের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি
নেতা দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলাল বলেন, তৃণমূলের অনেক নেতাই নির্বাচন করতে আগ্রহী।
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন
বর্জনের পরপরই উপজেলা নির্বাচন বিএনপিকে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। নির্বাচনে
অংশ না নিলে মাঠপর্যায়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল নেতাদের ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক মাসুদুল আলম
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে তিনি জানান, আমরা
দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত। তার পরও অনেক সময় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্থানীয়
মতামতে ভিন্নতাও আসে। আমরা স্থানীয়ভাবে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার
নির্বাচন শুরু হয়। বিএনপি ২০২১ সালের মার্চের পর থেকে সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। বরং দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে
অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের অনেক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এর আগেও সিটি করপোরেশন বা ২০১৯
সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তা সত্ত্বেও দলটির তৃণমূলের
অনেক নেতা অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দেড় শতাধিক প্রার্থী বিজয়ীও হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
বিএনপির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিবে না। আর যদি দলটির কোনো নেতাকর্মী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি বহিষ্কারও করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে দলের এমন কঠোর হুঁশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপি’র নেতারা। তারা মনে করছেন, যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না, সে কারণে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করা উচিত হয়নি দলের। বরং এই নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থীরা দাঁড়ালে তাদের শক্তি সামর্থ্য হতে পারে।
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।