নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৭ অক্টোবর, ২০১৮
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য দেশটির ‘অ্যানেক্সি’ ফরমে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ক্যু-এ জড়িত থাকার লিখিত স্বীকারোক্তি দিয়েছেন পদত্যাগী সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
সম্প্রতি এস কে সিনহা ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল’, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতি। প্রতিটি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের বাতিল হয়ে গেলে সেখানেই শেষ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধানের জন্য আরও তথ্য চায়। এই তথ্য চাওয়া হয় ‘অ্যানেক্সি’ ফরমে। সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকেও এই অ্যানেক্সি ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়। ফরমে ৭- ৮ টি প্রশ্ন ছিল। প্রশ্নগুলোর মধ্যে ছিল, কেন সরকার তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত, তাঁর কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা ইত্যাদি। এ সময় সুরেন্দ্র কুমারের পক্ষ থেকে ষোড়শ সংশোধনী রায় দেওয়ার পরের পরিস্থিতি কথা উল্লেখ করা হয়। এ পর্যায়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানতে চাওয়া হয়, এই রায়তো তিনি একা দেননি, অন্য কয়েকজন বিচারক এতে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের কোনো সমস্যা না হয়ে শুধু তাঁর একাই কেন সমস্যা হচ্ছে।
এরপরই সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে জানান, ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তিনি সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছিলেন। এস কে সিনহা বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর আলোকে বর্তমান সংসদকে অবৈধ এবং নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি, ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কাজ করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে লিখিত দেওয়ার মধ্যে দিয়ে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজেই স্বীকার করলেন যে, সাংবিধানিক ক্যু-এর সঙ্গে তিনি এবং ড. কামাল জড়িত ছিলেন। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে আরও প্রমাণ হলো, ষোড়শ সংশোধনী রায় মূল ব্যাপার ছিল না। এই রায়ের মাধ্যমে বর্তমান সংসদকে অবৈধ ঘোষণা করা এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত হয়েছিল। এই চক্রান্তের কথা জানার পর এবং সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে তদন্তের অভিযোগগুলোর বিষয়ে হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে সরে যেতে হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।