নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ অক্টোবর, ২০১৮
সিলেটে গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম জনসভা। সেখানে ড. কামাল হোসেনকে ঘিরে ধরেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হকসহ নগরীর বিএনপি নেতারা। বক্তৃতায় কেন বন্দী বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হয়নি তাই জানতে চাওয়া হয়। ভুলে গেছেন ও সরি বলে সেযাত্রা পার পেয়ে যান ড. কামাল । আজ শনিবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের জনসভাতেও ড. কামাল নিজ বক্তব্যে বেগম জিয়ার মুক্তি চাননি। বক্তব্যে তিনি সরকারের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছেন, সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর হুমকি দিয়েছেন কিন্তু বক্তব্যের কোথাও একবারের জন্যও বেগম জিয়া বা লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার কথা উল্লেখ করেননি।
স্থানীয় সূত্র বলছে, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের আজকের জনসভা ছিল বিএনপি ও জামাত নেতাকর্মীদের দ্বারা পরিপূর্ণ। ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য দলের কোনো নামনিশানাও ছিল না সেখানে। এমন জনসভায় বেগম জিয়ার নাম উচ্চারণ না করায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় নেতারা। আজও ড. কামালকে ঘেরাও করেন নেতাকর্মীরা। ড. কামাল হোসেন এবার আর সরি বলেননি। বরং ড. কামাল আজ স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘আমি খালেদা-তারেক ছাড়া বিএনপি চাই। খালেদা-তারেক ছাড়া বিএনপির জন্যই আমি এখানে (ঐক্যে) এসেছি। তাঁদের হটানোই আমার লক্ষ্য।’ ড. কামালের এমন কথায় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাৎক্ষণিক ভাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ড. কামালকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। তবে ড. কামালের কথার প্রতিক্রিয়ায় চট্টগ্রাম বিএনপির মধ্যে গুঞ্জন ওঠে, তবে কী খালেদা তারেককে মাইনাস করতেই তাঁকে (ড. কামাল) ঐক্যফ্রন্টের নেতা করা হয়েছে? এ পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিএনপির নেতারা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে ড. কামালের কথার ব্যাখ্যা চান।
বিএনপির মহাসচিব চট্টগ্রাম বিএনপির নেতাদের বুঝান, ‘এখন ভাঙনের সময় না। এখন এসব নিয়ে প্রশ্ন করাও ঠিক না। আমরা একটি মঞ্চ থেকে কথাগুলো বলছি। আমরা বেগম জিয়া ও তারেক নিয়ে কথা বলছি- এটিই তো অনেক। ড. কামালকেও এ কথা বলতে হবে এমন কোনো বিষয় নয়। তিনি যে ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলছেন, সেটিই আমাদের অর্জন।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক
লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল আজ শুক্রবার।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল আজকের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষক লীগের ৫২ বছর পূর্তি
উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে
কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে
সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক
লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কৃষিবিদ সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম
স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ
সমীর চন্দ দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেছেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার
জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক
লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায়
এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দলীয়
পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৭টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রা।
সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি রয়েছে।
এদিন বিকাল ৩টায় কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করবেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।