নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৮ অক্টোবর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদলে স্পিকার অথবা রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার চান ড. কামাল হোসেন। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের কাছে এমন বার্তাই দিয়েছেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের আহ্বায়ক। অন্তত: ৩টি দেশের কাছে ড. কামাল হোসেনের নির্বাচনে যাওয়া সম্পর্কিত নূন্যতম শর্ত সংক্রান্ত বার্তা গেছে। এই তিনটি দেশ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং যুক্তরাজ্য।
কূটনীতিক সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, এই তিনটি দেশের পক্ষ থেকেই ড. কামাল হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, নূন্যতম কি হলে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাবে? এর জবাবে, ড. কামাল হোসেন নূন্যতম ৪টি দাবি অর্জিত হলে নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব বলে মত দিয়েছেন। এই ৪টি দাবি হলো:
১. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে।
২. নির্বাচনকালীন সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন অথবা ছুটিতে যাবেন। কোনো নিরপেক্ষ ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী না হলেও বিদায়ী সংসদের স্পিকার অথবা রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হতে হবে।
৩. বিরোধী দলের ওপর রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। রাজনৈতিক হয়রানির কারণে আটক নেতা কর্মীদের ছেড়ে দিতে হবে।
৪. নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করতে হবে এবং সকলের কাছে আস্থাভাজন ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দিতে হবে।
ড. কামাল হোসেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ৪টি দাবি অর্জিত হলে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নির্বাচনে যেতে কোনো আপত্তি থাকবে না। উল্লেখ্য, ড. কামাল হোসেন যে ৪ দফা দাবি দিয়েছেন, তাতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গটি নেই। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের ৭ দফা দাবির অন্যতম ছিল বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। এছাড়াও ৭ দফা দাবিতে ইভিএম বাতিল এবং নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি ছিল। ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, যেহেতু সরকারই এখন ইভিএম ব্যবহারে আগ্রহী নয়, তাই এই দাবিটি তিনি আর করছেন না। সেনা মোতায়েনের বিষয়টিও সরকারের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয় বলেই ড. কামাল হোসেন মনে করেন। এই দাবিটি সরকারের কাছে না করে নির্বাচন কমিশনের কাছেই করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। আর ৭ দফা দাবিতে থাকলেও বেগম জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গটি ড. কামাল হোসেন এড়িয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুটি সমাবেশের একটিতেও ড. কামাল বেগম জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেননি। জানা গেছে, সুশীল সমাজের পরামর্শেই তিনি এই প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাচ্ছেন। ড. কামাল হোসেন বিএনপির শুধু জনপ্রিয়তা এবং সমর্থনটুকু নিতে চাইছেন। বিএনপির সমালোচনার দায় কাঁধে নিতে চাইছেন না। ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠরা বলেছেন, কূটনীতিকদের কাছে ৪ দফা দাবি দিলেও, শুধুমাত্র শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে সরে গেলেই জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট নিয়ে নির্বাচনে যেতে রাজি তিনি।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।