নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ অক্টোবর, ২০১৮
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বড় ধরনের চমক দেখাতে যাচ্ছে বিকল্পধারা। সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক বি. চৌধুরীর দলে যোগ দিতে পারেন বিএনপির একটি বড় অংশ। এছাড়াও ২০ দলীয় জোট থেকেও আরও কয়েকটি দল বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জোট যুক্তফ্রন্টে শামিল হতে পারে বলেও জানা গেছে। বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহি বি. চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএনপি নিজেরাই তাদের পথ হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপি এবং শহীদ জিয়ার আদর্শচ্যুত হয়েছে। তাই সত্যিকারের জিয়ার সৈনিকরা বিএনপিতে অস্বস্তি বোধ করছেন।’ তবে, বিএনপি থেকে কারা বিকল্পধারায় আসছে, তা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিকল্পধারার সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্তত শতাধিক নেতার বিকল্পধারায় যোগদান এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সরকারবিরেধী নির্বাচনী মোর্চা হিসেবে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল। যুক্তফ্রন্টে নাগরিক ঐক্য এবং জেএসডি যোগ দেয়। পরে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এবং বিএনপির যুক্তফ্রন্টে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে বিএনপির আগ্রহে ড. কামাল হোসেন অধ্যাপক বি. চৌধুরীকে বাদ দিয়েই ‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট’ গঠন করেন। ওই ঐক্যফ্রন্টে যুক্তফ্রন্টের নাগরিক ঐক্য এবং আ.স.ম. আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডিও যোগ দয়ে। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠিত হবার দুই দিনের মধ্যে ২০ দলে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ২০ দল থেকে দু’টি দল বি. চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করে। তাঁরা যুক্তফ্রন্টে যোগদানের ঘোষণা দেয়। এর পরপরই বি. চৌধুরীর বিকল্প ধারায় ভাঙ্গন ধরানো হয়। বিকল্পধারা থেকে বেরিয়ে যায় ক্ষুদ্র একটি গ্রুপ। তাঁরা নিজেদের বিকল্পধারা ঘোষণা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়। এর পরপরই বেশ ক’জন সাবেক বিএনপি নেতা অবসর ছেড়ে বিকল্প ধারায় যোগ দেন। ভাঙাগড়ার এই পাল্টাপাল্টি খেলা এখনো চলছে। বিকল্পধারার অন্যতম নেতা মাহি বি. চৌধুরী অবশ্য দাবি করেন এটা, এসব ভাঙাগড়ার নাটক বিএনপির একটি ক্ষুদ্র অংশের নোংরা রাজনীতি। তবে, বিএনপির অন্যতম নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ মনে করেন, এই ভাঙাগড়ার খেলায় বিএনপি নয় বরং সরকারের হাত রয়েছে। তাঁর মতে, ‘নির্বাচনে আনতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে দুর্বল করার নীতি গ্রহণ করেছে।’
একাধিক সূত্র বলছে, ভাঙাগড়ার রাজনীতির মূল কুশীলব তারেক জিয়া এবং মাহী বি. চৌধুরী। সূত্রমতে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহাবুবুর রহমানের সঙ্গে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী কথা বলেছেন। এছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য অসুস্থ ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সঙ্গেও সাবেক বিএনপি নেতা কথা বলেছেন। বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানসহ শতাধিক বিএনপি নেতার সঙ্গে বিকল্পধারার যোগাযোগ হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের একটি বড় অংশ বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের কঠোর সমালোচক। তাঁরা মনে করছেন, বিএনপি মহাসচিব দলকে ভুল পথে চালাচ্ছেন। বিএনপিতে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ভক্ত এবং অনুসারীর সংখ্যা কম নয়। তাঁরা মনে করছে, বিএনপি ভুল পথে চলছে। জিয়ার আদর্শ থেকে বিএনপি অনেক দূরে। এ কারণেই বিকল্পধারায় সহসাই বিএনপি নেতাদের দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ মনে করছেন, ‘এটাও একটা সরকারি চাল। বিএনপি ভাঙার জন্য এটি হবে সরকারের আরেকটি ব্যর্থ প্রয়াস।’
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।