নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৮ এএম, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজই ঘোষণা করা হবে। এরই মধ্যে আসামিদের আদালতে আনা হচ্ছে। তবে মামলার অন্যতম আসামি বন্দী হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের জন্য দণ্ডিত হন বেগম জিয়া। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ওই রায়ের ঘোষণার দিনই বেগম জিয়াকে কারাগারে নেওয়া হয়। প্রায় আটমাস কারাবন্দী থাকার পর বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম জিয়া। আজ সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলা নিয়ে লিভ টু আপিল খারিজ করে দেওয়ায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণায় আর বাধা রইলো না। এই ঘোষণার পর আজই রায় হবে বলে জান যায়। এর পরই বিএসএমএমইউতে উপস্থিত হন কারা কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা। নিয়ম অনুযায়ীই কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বেগম জিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আজ রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে যাবেন কিনা। বেগম জিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তিনি আদালতে যাবেন না।
কারা কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের বেগম জিয়া বলেন, রায় তো লেখা হয়েছে আগেই। আমি আদালতে গিয়ে কী হবে। বিচারে আমার ফাঁসি দিক, আমি আদালতে যাবো না।
বিএসএমএমইউ তে বেগম জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম জিয়া অসুস্থ। যেহেতু তিনি আদালতে যেতে চাচ্ছেন না, তাই এ বিষয়ে তাঁকে জোর করা যাবে না। চিকিৎসকরা জানান, বেগম জিয়ার নিয়মিত চিকিৎসা চলছে। ফিজিওথেরাপিও চলছে নিয়মিত।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।