নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে মাইনাস হলেন বেগম খালেদা জিয়া। ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেন সরকারের মাইনাস টু ফর্মুলার অর্ধেক বাস্তবায়ন হলো ১১ বছর পর। ওয়ান ইলেভেন কুশীলবরা এখন বলছেন, ‘এবার পালা শেখ হাসিনার। তিনিও মাইনাস হবেন।’ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবদের দৃশ্যমান তৎপরতা চোখে পড়ছে। ‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট’ ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্লাটফর্ম বলছে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তাঁদের ধারণা এবার টার্গেট শেখ হাসিনা।
২০০৬ সালে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চিত রাজনৈতিক সংঘাতে জের হিসেবে ওয়ান ইলেভেন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। সেনা সমর্থিত এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন ড. ফখরুদ্দিন আহমেদ। এই সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, কয়েকটি বিদেশি দূতাবাস,ড: কামাল হোসেন, ড. মুহম্মদ ইউনূস এবং দেশের শীর্ষ স্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকার দুই সম্পাদক। ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার দায়িত্ব নিয়েই রাজনীতিকে শুদ্ধ করার তত্ত্ব চালু করেন। রাজনীতিবিদদের গায়ে দুর্নীতিবাজের তকমা লাগিয়ে তাঁদের সামাজিকভাবে হেয় করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ সময় আসে ‘মাইনাস ফর্মুলা’। ‘দুই নেত্রীকে সরে যেতে হবে’ শিরোনামে এক সম্পাদকীয় লিখে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ প্রকাশ করেন। দুই নেত্রীকে নানা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে সংস্কার প্রস্তাব আনা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ তখন সফল হয়নি। দু’বছরের মাথায় নির্বাচন দিয়ে সরে যেতে হয় ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকারকে। নিরঙ্কুশ বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ওয়ান ইলেভেনের লক্ষ্য অর্জিত না হলেও কুশীলবরা কাজ করে গেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা গত ১০ বছরে যে কাজগুলো করেছেন তা হলো:
১. বিরাজনীতিকরণ। রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন এবং তাদের দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা।
২. প্রধান দুই দলের মধ্যে অনাস্থা, অবিশ্বাস এবং বিরোধ বাড়িয়ে রাজনীতিকে বিষাক্ত করা। যেন মানুষ রাজনীতি এবং গণতন্ত্র সম্পর্কে অনাগ্রহী হয়ে ওঠে।
৩. মাইনাস ফর্মুলার বাস্তবায়ন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বেগম জিয়া দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন। এখন তিনি রাজনীতি থেকে মাইনাস হয়ে গেছেন। বেগম জিয়া যেন রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে না পরে সেজন্যই ড. কামাল হোসেন সামনে এসেছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে। এর ফলে বেগম জিয়ার আর রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এখন বাকি থাকলেন শেখ হাসিনা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা বেশ স্পষ্ট করেই বলছেন, তাঁরা শেখ হাসিনাকে মাইনাস চান। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, তিনি শেখ হাসিনার মাইনাস চান। তাহলে কি শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে? শেখ হাসিনাকে কীভাবে মাইনাস করবে, কিংবা আদৌ তাঁকে মাইনাস করতে পারবে কিনা, সেটা পরিষ্কার হবে আগামী একমাসের রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের মধ্যে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।