নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫০ এএম, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বানের পরপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সংলাপের জন্য আগামী ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রণ্ট ও আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সংলাপকে কেন্দ্র করে বিএনপির মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।
এই প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা মীর্জা আব্বাস বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া সংলাপের সিদ্ধান্ত কতটুকু যৌক্তিক এবং কারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে ব্যাপারে তিনি জানেন না।
মীর্জা আব্বাস উদাহরণ টেনে বলেন, ’৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারারুদ্ধ ছিলেন, তখন আওয়ামী লীগ ছয় দফা প্রশ্নে আলোচনার টেবিলে বসেনি। এমনকি বঙ্গবন্ধুকে যখন প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কথা চলছিল তখনও বঙ্গবন্ধু আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির পরই কেবল আওয়ামী লীগ গোলটেবিল বৈঠকে বসে। বঙ্গবন্ধু যেমন আওয়ামী লীগের অবিসংবাদিত নেতা, সেরকম খালেদা জিয়া বর্তমানে বিএনপির মূল নেতা। তাঁকে বাদ দিয়ে বিএনপি কীভাবে সংলাপ করবে এবং সে সংলাপ থেকে কী ফলাফল আসবে সে ব্যাপারে তাঁর যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মীর্জা আব্বাস। বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সংলাপ প্রসঙ্গে তাঁর দল কী করবে তিনি জানেন না কিন্তু তিনি নিজে সংলাপে অংশ নেবেন না।
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, সংলাপে যাওয়ার বিষয়ে ঐক্যফ্রন্ট যে চিঠি আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে পাঠিয়েছে, সেই চিঠির ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কোনো রকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ ধরনের সংলাপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কে, কীভাবে নিল সেটি একটি বড় প্রশ্ন বলে মনে করছেন তাঁরা।
বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মূল দল হলেও জোটের আহ্বায়ক হিসেবে সরকারের সঙ্গে সংলাপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। আর সরকার যে এত দ্রুত এই প্রস্তাবে ইতিবাচকভাবকে সাড়া দেবে তাঁরা তা আশা করেননি বলেও জানা গেছে।
গতকাল সোমবার জিয়া এতিমখানা মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আবারও ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর এই সময়টাতেই ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংলাপের ব্যাপারে চিঠি আদান-প্রদাণ এবং সংলাপ নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। তাই বিএনপির একটি বড় অংশ মনে করছে, এই সংলাপ আর কিছুই নয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়ার একটি কৌশল মাত্র।
পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আজ মঙ্গলবার রাতে সংলাপ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা হবে। সেই সভাতেই আসন্ন সংলাপ বিষয়ে বিএনপি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির একাধিক নেতা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।