নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের মধ্যকার আসন্ন সংলাপ সম্পর্কে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘খালি হাতে নিশ্চয়ই ফিরবো না।’
আজ দুপুরে ডা. জাফরুল্লাহ বাংলা ইনসাইডারকে আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে কিছুই হবে না এমনটা আমরা মনে করি না। আমরা মনে করি, এই সংলাপ থেকে কিছু না কিছু অর্জন হবেই। নির্বাচনকেন্দ্রিক যে সংকট তৈরি হয়েছে সেই সংকট থেকে উত্তরণের পথ আমরা খুঁজে পাবো বলে আশা করি।
নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞারও প্রশংসা করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে শুরু থেকে জড়িত বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমি জানি প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিকভাবে অনেক প্রজ্ঞাবান । রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় তিনি সবার চেয়ে উপরে বলেই আমি মনে করি। তিনিও চান আগামী নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়।’
আগামী সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে উল্লেখ করে ড. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন শেখ হাসিনাই সবচেয়ে বেশি চান। নিশ্চয়ই আমরা সমাধানের পথে যেতে পারবো।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, তাঁর (শেখ হাসিনা) কাছে ম্যাজিক আছে। নিশ্চয়ই তিনি জাতিকে একটি ম্যাজিক উপহার দেবেন যেখান থেকে সঙ্কট উত্তরনের পথ আমরা খুঁজে পাবো।
আজ দুপুর ৩টার দিকে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ আলোচনায় বসবে বলে জানান ডা. জাফরুল্লাহ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে কারা কারা যাবেন এবং কীভাবে আলোচনা হবে সে বিষয়ে এই বৈঠকেই চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংলাপের বিষয়বস্তু প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা একটি ৭ দফা দিয়েছি। কিন্তু শুধু ৭ দফা নয়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যেসব বিষয়ে আলোচনা করা দরকার তার সব দিক নিয়েই আলোচনা করা হবে।’
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো শর্ত বা গন্ডির মধ্যে থেকে আলোচনা করা হবে না বলেও জানান ডা. জাফরুল্লাহ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।