নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮
ড. কামাল হোসেনকে মন্ত্রিসভায় যোগদানের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় সংলাপে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই প্রস্তাব দিতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ৭ দফার কয়েকটি দাবি তাৎক্ষণিকভাবে মেনে নিতে পারেন। আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য যা করা যায়, তাঁর সবটুকুই করবে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘৭ দফা নয়, আলোচনা হবে সার্বিক বিষয়ে। আমাদের লক্ষ্য আগামী নির্বাচন সব দরের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু করা। এজন্য সবাই মিলে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করব।’
আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, ৭ দফার প্রথম দফা মানার কোনো সাংবিধানিক সুযোগ নেই। বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সংসদ এখন আপনা আপনি নিষ্ক্রিয়। এই মুহূর্তে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সাংবিধানিক এখতিয়ার কারও নেই। তাই সরকারের পদত্যাগেরও সুযোগ নেই। এর পাল্টা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় ২ থেকে ৪ জনকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেবেন। ৪০ জনের মন্ত্রিসভায় ৪ জন অনির্বাচিত মন্ত্রী হবার সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০১৪’র মতো, জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টকেও বলতে পারেন, কোন মন্ত্রণালয় চান?
আলোচনায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি কিভাবে সম্ভব তা ড. কামাল হোসেনের কাছেই জানতে চাইবেন প্রধানমন্ত্রী। হাইকোর্টের রায়ের পর আইনগত ভাবে তাঁর মুক্তি সম্ভব কি না সে প্রশ্ন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দাবির একাংশও এখন সাংবিধানিকভাবে অসম্ভব বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা মনে করছেন। কারণ, ইতিমধ্যেই নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। তাই এই মুহূর্তে, নির্বাচন কমিশন পুন:গঠনের কোন সুযোগ নেই। তবে, দ্বিতীয় দাবির দ্বিতীয় অংশ ইভিএম ব্যবহার না করা। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী হয়তো এই দাবিটির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাবেন। তৃতীয় দাবিটি, ‘বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সকল রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।’ এই দাবি ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ মনে করে। তারপরও এটা নিশ্চিত করার জন্য ঐক্য ফ্রন্টের কাছে পরামর্শ চাওয়া হতে পারে। চতুর্থ দাবির ব্যাপারে ও সরকার বলবে যে, ইতিমধ্যে এই দাবির একটি অংশ প্রতিপালিত হয়েছে।
সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত ৫ম দাবিটি নির্বাচন কমিশনের বিষয় বলেই আওয়ামী লীগ মনে করে। একইভাবে ৬ষ্ঠ দাবিটিও নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারাধীন বলে আওয়ামী লীগ সংলাপে ব্যাখ্যা করবে। আর ৭ম দাবিটি সত্য নয় বলে আওয়ামী লীগের দাবি। সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে, এই ধরনের মামলা হয়ে থাকলে তাঁর তালিকা চাইবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ধারা যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টকে আহ্বান জানাবেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন