নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চিঠিতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল ১ নভেম্বর। গণভবনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সংলাপে কারা কারা অংশ নেবে তা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে। গণমাধ্যমকে তারা জানিয়েছে, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেবে।
আওয়ামী লীগ থেকে কারা কারা এই সংলাপে অংশ নেবেন তা এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। জানা গেছে, সংলাপে কারা অংশ নেবেন তা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্ধারণ করছেন। তবে সংলাপে আওয়ামী লীগের ১৫ থেকে ২০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
সূত্র মোতাবেক রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম করে রাখা আগামীকালের সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য যাঁরা উপস্থিত থাকতে পারেন তাঁদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, এবং আওয়ামী লীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. দিপু মনি, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক।
এছাড়া আইনি বিষয় নিয়ে আলোচনা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের প্রয়োজন পড়তে পারে বলে সংলাপে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরুর অংশগ্রহণও এক প্রকার চূড়ান্ত।
সংলাপে অংশগ্রহণ বিষয়ে দলের এই কয়েকজন নেতা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আরও কয়েকজনের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিদ্রোহ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক
আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট
জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর
কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।
তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন,
ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি
ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম
পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি
প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান
না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।
তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত
আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস
আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের
মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা
বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া
ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও
মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর
ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার
তাকে গুম করেছে।
ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির
সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী
হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি
হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।
মন্তব্য করুন