নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে আজ বুধবার। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দলটির স্থায়ী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বিভিন্ন কারণে অংশগ্রহণের ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়নি।
নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু বৈঠকের চেষ্টা করে হলেও স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যরা ব্যস্ততা বা অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বৈঠক থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখেন।
এই বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে গতকাল যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অসুস্থতার কারণে তিনি বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি। এছাড়া স্থায়ী কমিটির আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ থাকায় গতকালের বৈঠকে যাননি।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম বিএনপির স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন কিন্তু তিনিও অসুস্থতার কথা বলে এ মুহূর্তে বৈঠকে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য লে. জে. মাহবুবুর রহমানও অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন বৈঠকের ব্যাপারে। বিএনপির আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা মির্জা আব্বাস এবং নজরুল ইসলাম খানকেও বৈঠকের ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
বৈঠক অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বিএনপির নীতিনির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটি কর্তৃক আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অনুষ্ঠেয় সংলাপের বিষয়টি অনুমোদিত হয়নি। ফলে সরকারের সঙ্গে সংলাপের পর ঐক্যফ্রন্ট যদি নির্বাচনে যাওয়া বা না যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে স্থায়ী কমিটিতে অনুমোদিত না হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত বিএনপির জন্য কোনো বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করবে না। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজকে বিএনপি ২০ দলীয় জোটের যে সভা ডেকেছে তাতে সংলাপ বিষয়ে আলোচনা হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।