নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮
লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া জানতে চেয়েছেন, ‘সংলাপ করে কি হবে।’ গতকাল রাতে তারেক বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতাকে টেলিফোন করে এ ব্যাপারে তিনটি প্রশ্ন করেন। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, তারেক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
সংলাপ করে কি হবে? ছাড়াও অন্য যে প্রশ্ন দু’টি তারেক জিয়া করেছেন, সেগুলো হলো, বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যেয়ে কি লাভবান হবে? এবং বিএনপি নির্বাচন না করে কি আন্দোলন করে সরকার পদত্যাগে বাধ্য করতে পারবে? সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ছাড়া বিএনপির অন্য দুই নেতাই সংলাপের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ‘এই সংলাপ সরকারের একটি ফাঁদ। এর মাধ্যমে বিএনপি কিছুই অর্জন করতে পারবে না। অন্যদিকে সরকার এই সংলাপ দেখিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আর একটি প্রহসনের নির্বাচন করে নেবে।’ বিএনপির আরেক নেতা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও সংলাপের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। তারেক জিয়াকে তিনি বলেছেন, ‘এই সংলাপ সরকারকেই শক্তিশালী করবে। এর মাধ্যমে সরকারকে বৈধতা দেওয়া হবে।’ রিজভী বলেন ‘নেতা-কর্মীদের অন্ধকারে রেখে এই সংলাপ এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা।’
তবে, বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া প্রসঙ্গে, দুই বিএনপি নেতাই নির্বাচনে যাবার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ‘আইনগত ভাবে বিএনপির চেয়ারপারসনের নির্বাচন করার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আপিল বিভাগ যদি কেবল তাঁর দণ্ড স্থগিত করে তাহলেই তিনি নির্বাচন করতে পারেন। তাই আমাদের উচিৎ চেয়ারপারসনকে ছাড়াই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া।’ বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুও একই মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সরকার বেগম জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এসব করছে। তাই বিএনপিকে খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে বলেই তিনি তারেক জিয়াকে বলেছেন। অবশ্য রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বেগম জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন কর্মীরা মেনে নেবে না। এতে বিএনপি অস্তিত্বের সংকটে পড়বে।
আর নির্বাচন বর্জনের ব্যাপারেও মওদুদ, মিন্টু নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তাঁরা দুজনই বলেছেন, আন্দোলন করে সরকারকে হটানোর মতো পরিস্থিতি এখন নেই। আর এদের মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, এবারের নির্বাচন সরকার একতরফা করবে না, তারা ব্যবস্থা করে রেখেছে যেন বেশকিছু দল ও ব্যক্তি অংশগ্রহণ করে। তাই নির্বাচন বর্জন হবে আরেক আত্মহত্যা। অবশ্য রুহুল কবির রিজভী নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁর মতে, আন্দোলন করলে বিএনপির হারানোর কিছু নেই।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, তারেক এ ব্যাপারে আরও নেতাদের সঙ্গে কথা বলবে। এরপর তফসিল ঘোষণার আগেই তিনি বিএনপির করণীয় সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।