নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮
সংলাপের স্বস্তির মধ্যেই বিএনপি শিবির থেকে অশান্তির বার্তা আসছে। আজ মানববন্ধনের পর বিএনপির তরুণ নেতাদের চাপের মুখে বিএনপির শীর্ষ নেতারা আশা দিয়েছেন যে, তারা সংলাপ প্রলম্বিত হতে দেবেন না। যদি প্রধানমন্ত্রী ৭ দফা নীতিগতভাবে মেনে না নেন, তাহলে বিএনপির অংশগ্রহণকারীরা সংলাপ থেকে বেরিয়ে আসবেন। এরপর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে। এমনকি হরতাল, ঘেরাও এর মতো কর্মসূচি দিতেও তাঁরা পিছপা হবে না। আজ সকালে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে এই মানববন্ধন পালিত হয় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ঢাকার কর্মসূচি শেষে সংলাপ বিরোধি নেতারা দলের মহাসচিব এবং স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাছে কর্মসূচি দাবি করেন। দলের একাধিক নেতা প্রশ্ন করেন, এই সংলাপ সংলাপ খেলা কতদিন চলবে? আপনারা কি ম্যাডামকে ছাড়া নির্বাচনের পাঁয়তারা করছেন?
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরুনদের শান্ত করে বলেন,‘ আমরা সংলাপে যাচ্ছি ৭ দফার ভিত্তিতে। সেখানে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গটি আছে।’ তিনি বলেন,‘ ৭ দফা নীতিগত ভাবে মেনে নিলেই কেবল আলোচনা এগুবে।’ ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন‘, প্রয়োজনে আমরা সংলাপ থেকে ওয়াক আউট করবো।’ কর্মীদের চাপের মুখেই স্থায়ী কমিটির নেতারা মানববন্ধনের পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন। সেখানে বিএনপি সংলাপের ব্যাপারে ৩ টি নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে।
১. সংলাপে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তির প্রসঙ্গটিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হবে সংলাপের শুরুতেই।
২. ৭ দফা দাবির প্রথম দফায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
৩. সংলাপকে দীর্ঘ করা যাবে না, এটা যেন কালক্ষেপনের কৌশল না হয়।
নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকেই বিএনপি মহাসচিব টেলিফোনে কথা বলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে। ড. কামাল হোসেনকে তাঁরা বিএনপির মনোভাব জানান। ড. কামাল বলেন, ‘আমরা আগে যাই, দেখি তারপর এসব প্রসঙ্গ আসবে।’
উল্লেখ্য এর আগে গতকাল ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারের বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তারা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সংলাপ করবে। উভয়পক্ষকে ছাড় দেয়ার মানসিকতার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু আজ বিএনপির নেতারা স্পষ্ট করেই বলেছেন `শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবে না।` অথচ এই সংলাপে যার যাই হোক এই প্রস্তাবে আওয়ামী লীগ রাজী হবে না। সেক্ষেত্রে এই সংলাপ কি সদ্যজাত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টেও ভাঙ্গন ধরাবে? জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা অবশ্য এমনটি মনে করেন না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, `সংলাপ নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোন বিভেদ নেই, হতাশাও নেই। আমরা মনে করি সংলাপের মধ্য দিয়ে একটা সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।