নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ০১ নভেম্বর, ২০১৮
গণভবনে আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ দলটির নেতাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে, সেটির দিকেই এখন সমগ্র জাতির দৃষ্টি। এই সংলাপে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১৬ জন সদস্য অংশগ্রহণ করবে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে থাকছেন ২১ জন নেতা। আর সংলাপের শুরুটা কীভাবে তাও ঠিক করে ফেলা হয়েছে।
সংলাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছেন, ‘সংলাপের প্রথমেই অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। শুরুতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। সেখানে তিনি গণতন্ত্র সংগ্রাম, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা কিভাবে অর্জিত হয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে সেটি তুলে ধরবেন।
ওবায়দুল কাদের স্পষ্টভাবেই মন্তব্য করেন যে, ৭ দফার ভিত্তিতে কোনো আলোচনা হবে না। সেখানে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং খোলা মনে মুক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সংলাপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগের নেতা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ৭ দফা বা ১১ দফা নয়। আমাদের লক্ষ্য হলো আগামী নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়। সেজন্য যা যা করা দরকার, সেটিই আমরা করবো। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য যদি ঐক্যফ্রন্ট যদি কোনো পরামর্শ দেয়, সেটি আমরা গ্রহণ করবো।
সংলাপে অংশগ্রহণকারী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমরা শুনবো। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সূচনা বক্তব্য রাখবেন ড. কামাল হোসেন। তিনি ৭ দফা নির্বাচনের যৌক্তিকতা তুলে ধরবেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবেন। তারপর নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠুভাবে করা যায়, সেটি নিয়ে সংলাপে আলোচনা করা হবে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।