নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ০১ নভেম্বর, ২০১৮
গণভবনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বসবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আলোচিত সংলাপ। তবে সংলাপে বসার আগেই এর কৌশল কি হবে তা নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধের খবর পাওয়া গেছে। বিরোধটা মূলত কোন দফা আগে বলা হবে, আলোচনা হবে তা নিয়ে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপি বলছে, সংলাপের প্রধান ইস্যু হতে হবে ফ্রন্ট ঘোষিত ৭ দফার প্রথমটি। যেখানে বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, আলোচনা করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
অন্যদিকে বিএনপির বাইরে ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য দলগুলো বলছে, ৭ দফার মধ্যে যে দাবিগুলো সহজে গ্রহণযোগ্য, সহজেই মানা যায়, সেগুলো নিয়েই আগে আলোচনা করা উচিত। এক্ষেত্রে ইভিএম বাতিল (২য় দফা), নির্বাচনের সময় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (৩য় দফা), সেনা মোতায়েন (৫ম দফা), কোটা আন্দোলনসহ অন্যান্য আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি (৪র্থ দফা) এর মতো দফার বিষয়গুলো নিয়ে প্রথমে আলোচনা করতে চায় বিএনপি ছাড়া ফ্রন্টের অন্যান্য দলগুলো। তাদের মতে, এই বিষয়গুলো নিয়ে ফয়সালা করে আস্তে আস্তে প্রথম দফা নিয়ে আলোচনায় আসতে হবে। সবাইকেই কিছু ছাড় দিতে হবে বলে মনে করেন তারা। কিন্তু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্ট করেই বলেছেন, অন্য বিষয়গুলোতে ছাড় দেওয়া হলেও, সাত দফার প্রথম দফার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।
ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ডা জাফরুল্লাহর মতে, ছাড় দেওয়ার বিষয়টিই হলো সংলাপে আন্তরিকতা। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। যদি আমরা দেখি এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছে যেখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের তাতে রাজি হওয়া উচিত।
এমন পরিস্থিতিতে, বিভক্ত অবস্থায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আজ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে যাচ্ছে। সেই সংলাপে তাঁরা কী করবেন, সেটাই হলো মূল বিষয় বলে মত বিশ্লেষকদের।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।