নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০১ নভেম্বর, ২০১৮
দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। তবে এর মধ্যে দেখা যাচ্ছে না জোটের অন্য কোন নেতা-কর্মীদের। বিএনপির কর্মসূচিতে শুধু বিএনপি ছাড়া নেই জোটের অন্য কোন নেতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
বিএনপি এখন দু’টি জোটের মধ্যে রয়েছে। তাদের মধ্যে একটি হলো দীর্ঘদিনের পুরনো জোট ২০ দলীয় ঐক্য জোট ও অপরটি নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে শুধু বিএনপি ছাড়া জোটের কোন নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না কোনো আগ্রহ।
আজ বৃহস্পতিবার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পালন করা হয়েছে এই প্রতীকী অনশন কর্মসূচি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। তবে বিএনপি ছাড়া তাদের দুই জোটের কোনো নেতা-কর্মীকেই এতে অংশ নিতে দেখা যায়নি।
এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত বুধবার মানববন্ধন করেছে বিএনপি। প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের রায় বাতিলের দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা মানববন্ধন করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেখানেও নেই জোটের অন্য দল গুলোর নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ।
বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে যে ৭ দফা দাবি প্রণয়ন করেছে, সেখানে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিটি অন্যতম। অথচ ঐক্য ফ্রন্টের কোনো নেতা গতকালের মানবন্ধনেও ছিল না, আজকের প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতেও তাদের দেখা যায় নি। খালেদার মু্ক্তির প্রশ্নে এখন একাই লড়াই করছে বিএনপি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।