নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৮ পিএম, ০১ নভেম্বর, ২০১৮
ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার আগে ছিল যুক্তফ্রন্ট। বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ওই জোটে একজন নেতা ছিলেন যিনি জোটের মিটিংয়ের সময় নিজের মোবাইল অন করে রাখতেন এবং ওনার মোবাইল থেকে লন্ডনের একটি নম্বরে ফোন দেওয়া হতো। সর্বশেষ যুক্তফ্রন্টের মিটিংয়ে মোবাইল অন করে লন্ডনে কল দিয়ে রাখার বিষয়টি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে অনেক হইচই হয়। পরে বি. চৌধুরী পরবর্তী মিটিংগুলো অংশগ্রহণের আগে সব মোবাইল ফোন রেখে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ওই নেতা এখন ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টেও আছেন। গণভবনে অনুষ্ঠেয় আজকের সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ওই নেতাও যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় আজকের সংলাপের সময় মোবাইল ফোনের বিষয়ে কী হবে তা নিয়ে অনেকের কাছেই প্রশ্ন উঠেছে।
গণভবনে মোবাইল ফোনের বিষয়ে আগে থেকেই নিয়ম বলবৎ আছে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাতের আগে নিরাপত্তা চেকিংয়ের সময়ই মোবাইল রেখে দেওয়া হয়। মোবাইল রেখে একটি টোকেন দেওয়া হয়। সাক্ষাৎ শেষে ফেরার সময় সবাই তাঁর ফোন নিয়ে ফেরেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থের এমন ব্যবস্থা। তাই স্বভাবই আজ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপের আগে সবাইকে ফোন রেখেই যেতে হবে।
আজকের সংলাপ নিয়ে সবাই ব্যস্ত সেখানে কী হবে না হবে এই বিষয় নিয়ে। কিন্তু এমন ঐক্যফ্রন্টের একজন নেতা মোবাইল নিয়ে যাবেন কিনা তা জানতে অস্থির হয়ে পড়েছেন। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকে ফোন করে তিনি বলেছেন, আজকের বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের যাঁরা আসছেন তাঁরা সবাই গণ্যমান্য। নিরাপত্তার নামে যেন তল্লাসি না করা হয়, মোবাইল আটকে রাখা এমন বিষয়গুলো যেন না হয়। তিনি এও বলেছেন, এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নেতাদের যদি অপমান করা হয় বা অসম্মান করা হয়, তাহলে সেটা সংলাপের জন্য ক্ষতিকর হবে। মূল বিষয়টি হলে মোবাইল নিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণের জন্য ওই নেতা অনেক কসরতই করছেন।
এই বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত হলো, এমন গুরুত্বপূর্ণ এক সংলাপে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন কোথায়, যদি না এর মাধ্যমে নেতিবাচক কিছু করার উদ্দেশ্য থাকে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।