ইনসাইড পলিটিক্স

সংলাপ ব্যর্থ হলে অসহযোগ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০১ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের মধ্যে অনুষ্ঠেয় সংলাপকে ঘিরে সরগরম হয়ে আছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার সময় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সংলাপ থেকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের নিশ্চয়তা আশা করা হচ্ছে। কিন্তু সংলাপের পাশাপাশি দেশের রাজনীতিতে ঘটে চলেছে একের পর এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা যা আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে।

সংলাপের ডামাডোলের মধ্যেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। এর পরদিনই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার সাজা ৫ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। পরপর দু দিন দুটো মামলায় কারাদণ্ডের আদেশ আসায় খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার সম্ভাবনা এখন তিরোহিত।

এছাড়া দলীয় চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নিজেদের গঠনতন্ত্রের ৭ম ধারা বাতিল করে দুর্নীতিবাজদের দলের নেতৃত্বে থেকে নির্বাচন করার সুযোগ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কিন্তু একটি রিট মামলার রায়ে গতকাল বুধবার বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা এক প্রকার শেষ হয়ে গেল। এখানেই শেষ নয়। আজ সংলাপে যাওয়ার দিনও কারান্তরীণ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ৬ ঘণ্টার অনশনও করেছে বিএনপি।

এছাড়া আজকে সংলাপের দিনটিতেই নির্বাচন কমিশনাররা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে গেছেন। এক সপ্তাহের  মধ্যেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে, একথাও জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন। এমন প্রেক্ষাপটে আজকের সংলাপের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসাকে একটি অবাস্তব স্বপ্ন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। দুই পক্ষ যদি সমন্বয় এবং ছাড় দেওয়ার মানসিকতার মাধ্যমে একটি জায়গায় আসতে পারে তাহলেই কেবল সমঝোতা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের দিক থেকে সমন্বয় ও ছাড় দেওয়ার মানসিকতার প্রদর্শন না ঘটলে মাত্র একদিনের সংলাপে সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ অত্যন্ত ব্যস্ত থাকবেন। আজ ১ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে, পরদিন ২ নভেম্ভর বিকল্পধারার সঙ্গে এবং ৫ নভেম্বর জাপা নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট-ইউএনএর সঙ্গে সংলাপে বসবেন। আর ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ সফরের কারণে ঢাকায় থাকবেন না তিনি। জানা গেছে, এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে। তাই এই স্বল্পতম সময়ে তেমন কোনো জাদুকরি ফলাফল সংলাপ থেকে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সংলাপে যাই হোক না কেন আওয়ামী লীগের তিনটি ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এগুলো হলো বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি। কিন্তু এই তিনটি দাবিই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম দফার মধ্যে সংযুক্ত হয়েছে। একেও সংলাপ সফল হওয়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুধু নির্বাচনে যাওয়ার শর্তে আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দল সংসদ ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নিলেও নিতে পারে। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অনেকেরই ধারণা, যদি ঐক্যফ্রন্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ বা নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি থেকে সরে না আসে তাহলে এই সংলাপ সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারাও সংলাপ সফল হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন না।

সংলাপ সামনে রেখে গতকাল বুধবার বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার অনশনের পরেও নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি নেতারা বৈঠকে বসেন। সেখান থেকে স্পষ্টভাবে তাঁরা বিএনপিকে আন্দোলনের দিকে নিয়ে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, যদি সংলাপ ব্যর্থ হয় কিংবা রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের আগেই যদি নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে তাহলে ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলনে না গেলেও বিএনপি আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, সেই আন্দোলনের কর্মসূচি হবে অত্যন্ত কঠোর।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সংলাপ হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত। আমরা আমাদের আন্দোলনের গতি বাড়িয়েছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে আমরা পরপর দুইদিন কর্মসূচি দিয়েছি। সরকার বিএনপি নিধনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। নির্বাচনে যেন বিএনপি অংশগ্রহণ করতে না পারে এবং খালেদা জিয়া, তারেক জিয়াকে রাজনীতি থেকে অপসারণ করার জন্যই সরকার একটি নীল নকশা রচনা করেছে। কাজেই আমাদের জন্য আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। সংলাপে যাই হোক না কেন আমরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’

বিএনপির এই নেতা আভাস দিয়েছেন, আবার দেশে হরতাল, অবরোধ, অসহযোগের মতো কর্মসূচিগুলো ফিরে আসতে পারে।

বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি হরতাল, অবরোধ, অসহযোগের মতো কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত মোটামুটি স্থির করে ফেলেছে এবং এ ব্যাপারে তৃণমূল পর্যায়ে নির্দেশনা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে গেছে। ঢাকার বাইরে বিএনপির অন্তত দুজন নেতা বলেছেন যে তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে যেন তাঁদের ঢাকায় আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির অন্যতম নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখে যদি তফসিল ঘোষণা করা হয় তাহলে আমরা ঐক্যফ্রন্ট বা অন্য কারো জন্য অপেক্ষা করবো না। বিএনপি কোনো দুর্বল দল নয়, বিএনপি অন্যের ওপর নির্ভরশীল নয়। কাজেই আমাদের যেটুকু শক্তি আছে সেটুকু শক্তি দিয়েই আমরা আন্দোলন করবো।’

বিএনপির কঠোর আন্দোলনের পরিকল্পনায় সংলাপের দিনেও পুরোপুরি আশাবাদী হতে পারছে দেশের জনগণ।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোটে অংশ নেওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে শোকজ

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।

বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।

গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।

দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।

তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ হয়নি।


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে গণ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১০:৩০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। 

অবশ্য এসব প্রার্থীর অনেকে এটি ‘দলীয় নির্বাচন নয়’ বলে দাবি করছেন, আবার কেউ কেউ ‘জনগণ তাদের চাচ্ছে’– এমন অজুহাত দেখাচ্ছেন। এমনকি দল থেকে বহিষ্কার হতে পারেন– সেই ভয় উপেক্ষা করেই নিজেদের এ অবস্থান জানান দিচ্ছেন তারা। আবার অনেকের দলে কোনো পদপদবিও নেই। অনেকে বহিষ্কৃত। এর পরও যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি হাইকমান্ড। শিগগির এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানা গেছে।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো দলের এমন সিদ্ধান্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বাস্তবায়ন করছে দলটি। এ জন্য দফায় দফায় তৃণমূল নেতাকর্মী ছাড়াও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গেও দফায় দফায় বৈঠক করেন নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেতারা এই নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত তুলে ধরেন। সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ইচ্ছুকদের প্রথমে কাউন্সেলিং, নির্বাচনে না যাওয়ার আহ্বানের পাশাপাশি দলের কঠোর অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন নেতারা। এর পরও যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন, তাদের বিষয়ে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি আগেই উচ্চারণ করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। 

এদিকে গত সোমবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বহিষ্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নেতারা বলছেন, স্থানীয় জনগণের চাপে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাছাড়া যেহেতু এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না তাই তারা স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করছেন। আর তাই বহিষ্কারের বিষয়টি তারা আমলে নিচ্ছে না। তবে দল তাদের ব্যাপারে নমনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন এমনটাও প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দিনাজপুর জেলার একটি উপজেলার বিএনপির প্রার্থী বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করার পরে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্বাচনে না যাওয়ার। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন করব, দল যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নেবে।

বিএনপি   গণ বহিষ্কার   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় থানায় জিডি

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ওরফে খোকন এ জিডি করেন।

জিডিতে বলা হয়েছে, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ২০ বছর যাবৎ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই।’ 

একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।’

জিডিতে শ্রমিক লীগের ওই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতা থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এই মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘আপনি কখনোই কোনো কথা শোনেন না, এটা ঠিক না’

প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের। 

গতকাল সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে তার কক্ষে যান শাজাহান খান। এ সময় তার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি তো কথা শুনলেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তও মানলেন না।’

এ সময় সেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তিরস্কার করেন শাজাহান খানকে।

জানা গেছে, শাজাহান খান এক পর্যায়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে বলেন, রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ছেলে আসিবুর রাজনীতিতে এসেছে। এ জন্যই সে প্রার্থী হয়েছে। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপির স্বজনের নির্বাচন না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রতিউত্তরে শাজাহান খান বলেন, অনেকেরই নিকটাত্মীয় রাজনীতিতে আছেন।

ওবায়দুল কাদের এ সময় শাজাহান খানকে বলেন, ‘আপনি কখনোই কোনো কথা শোনেন না। এটা ঠিক না।’ এর জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘আপনার সিদ্ধান্ত দেরিতে জানিয়েছেন। আগে জানালে ভালো হতো।’ তখন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি আমার নয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কোন সিদ্ধান্ত কখন দেবেন, সেটা কি আমাদের জিজ্ঞাসা করে দেবেন?’

শাজাহান খানের উচ্চস্বরে কথা বলা নিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ নিয়ে বিরক্ত হন ওবায়দুল কাদেরও। তিনি শাজাহান খানের উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে দলের অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন। এর পরও আপনি সবার সামনে এসব অপ্রিয় কথা কেন বলছেন?

এ সময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুই সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কার্যনির্বাহী সংসদের দুই সদস্য আনিসুর রহমান ও সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মশিউর রহমান হুমায়ুন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী লোটন, বলরাম পোদ্দার এবং শাহজাদা মহিউদ্দিন।

ওবায়দুল কাদের   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভিডিও ভাইরাল হওয়া সেই চামেলীকে অব্যাহতি

প্রকাশ: ০৭:৩১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
 
এর আগে ওই নারী কাউন্সিলরের একটি নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কয়েকদিন ধরে নগর আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ঘুরপাক খায়। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আওয়ামী লীগ   ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন