নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ০২ নভেম্বর, ২০১৮
যুক্তফ্রন্ট এবং বিকল্পধারা আজকের সংলাপে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচেনের জন্য তিনটি বিকল্প উপস্থাপন করেন। তার মধ্যে…
১. নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সংবিধানের আওতায় যদি তা সম্ভব না হয়।
২. দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে তাঁরা উল্লেখ করেছেন। সব দলের অংশগ্রহনে একটা সম্মিলিত সরকার। সব দল মিলিয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার। যে সরকারে সব দলের অংশগ্রহন থাকবে। যেটা ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। সেই অঙ্গিকারের আলোকে।
৩. অথবা তারা মনে করেন যে, যদি সরকার নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা সহ অবাধ এবং নির্বাচনকালীন সময়ে কোন রকম প্রশাসনিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে। সেই শর্তে তারা বর্তমান সরকারের অধীনেও নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত।
এই তিনটি বিকল্পের মধ্যে সরকার যেকোনটা ইচ্ছে গ্রহন করতে পারে। তবে বিকল্প ধারা আজকের বৈঠকে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে চায়। তবে নির্বাচনের জন্য একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করতে চায়। অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত হলে এই নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে যুক্তফ্রন্টের কোন আপত্তি নেই।
আজকের বৈঠকে যুক্তফ্রন্ট আরেকটি মৌলিক বিষয় উল্লেখ করেছেন, যেটার সঙ্গে ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগ একমত হয়েছেন। সেটা হলো, বাংলাদেশে যারাই রাজনীতি করুক। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে রাজনীতি করবে। বাংলাদেশে যারা স্বাধীনতা বিরোধীতা করেছিল, যুদ্ধাপরাধী। তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। তাদেরকে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করার ব্যাপারে যুক্তফ্রন্ট এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল একমত পোষণ করেছে।
আরেকেটি যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বিরোধী দলের সভা সমাবেশ করার অধিকারের ব্যাপারে যুক্তফ্রন্ট এবং আওয়ামী লীগ ঐক্যমতে পৌঁছেছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন,‘বিরোধী দল যেন অবাধে সভা সমাবেশ করতে পারে, তার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।