নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৩ নভেম্বর, ২০১৮
দল-মত নির্বিশেষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতিই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে ড. গওহর রিজভী বাংলা ইনসাইডারকে এ কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্টের নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে গণভবনে অনুষ্ঠিত বহুল প্রতীক্ষিত সংলাপের প্রথমদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে জিজ্ঞেস করেন, এমন একজন ব্যক্তির নাম বলেন যিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং নির্দলীয়, নিরপেক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কারও নাম বলতে পারেনি। তখন প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেনের কাছেই জানতে চান, ‘আপনিই বলেন কে হতে পারে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি?’
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিটিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। শেখ হাসিনা এমন একজন ব্যক্তি যিনি দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ বলে দল-মত নির্বিশেষে সবাই মনে করেন। শুধু দেশের নেতা নয়, বিশ্ব নেতৃত্বের স্থানে পৌঁছে গেছেন তিনি। বাংলাদেশে তাঁর কোনো বিকল্প নেই এবং সবার কাছেই তিনি গ্রহণযোগ্য।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) পরিচালিত জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে ড. গওহর রিজভী বলেন, ৬৬ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে পছন্দ করেন এবং তিনি দল-মতের উর্ধ্বে উঠে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেন। শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেন জনগণের স্বার্থে। এ কারণে শেখ হাসিনাই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি আর দেশের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিটির অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই নির্বাচন নিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন ড. গওহর রিজভী।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।