ইনসাইড পলিটিক্স

মনোনয়নপত্র দাখিল করবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৩ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

অনেক দিন পর গতকাল শুক্রবার রাতে বিএনপির নীতিনির্ধারক সংস্থা স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের কৌশল নিয়ে এই বৈঠক বিএনপির মধ্যে স্পষ্ট মতবিরোধ এবং দ্বিধাবিভক্তি দেখা গেছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনের কৌশল নিয়ে একাধিক নেতা মুখোমুখি অবস্থানে থাকলেও এই মুহূর্তে ঐক্যফ্রন্ট বা ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে বিএনপির সবাই ঐক্যমতে পৌঁছেছে। এমনকি যারা ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পছন্দ করছে না তারাও বলছে, এখন যদি বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে সকলের কাছে ভুল বার্তা যাবে। বিএনপির এমন পদক্ষেপে কর্মীরা হতোদ্যম হয়ে পড়বে এবং সরকার অন্যান্য দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনের সুযোগ নেবে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।

আন্দোলনের দুটি কৌশল নিয়ে বিএনপির গতকালের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রথম কৌশল অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অসহযোগ, হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়ে নির্বাচন বানচাল করে দেওয়ার চেষ্টা করবে বিএনপি। এই কৌশলটি কার্যকরী বলে মনে করছেন মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো দলের একাধিক সিনিয়র নেতা। বিএনপির এই অংশটি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক।

আর দ্বিতীয় কৌশল মোতাবেক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের একটি অংশটি তফসিল ঘোষণার পর সরকারের সঙ্গে সংলাপের ধারা অব্যাহত রাখার পক্ষপাতী। বিএনপির এই অংশটি নির্বাচন কতটুকু নিরপেক্ষ হচ্ছে তা সবাইকে দেখানোর জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবে। মির্জা ফখরুলের অনুসারী বিএনপির এই নেতারা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেবে। তবে এই অংশটি দাবি করছে, জমা দেওয়ার পরও যদি তাঁরা দেখেন  সরকার অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করছে না তখন তারা জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র তুলে নিয়ে আন্দোলনে যাবেন। নির্বাচনী আন্দোলন যৌক্তিক এবং অংশগ্রহণমূলক করার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে বিএনপির দ্বিতীয় কৌশলে বিশ্বাসী অংশটি। এছাড়া তাঁদের দাবি, যখন তারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন তখন তাঁদের পরিচালিত আন্দোলনটি হবে নির্বাচনে জয়ের আন্দোলন।

কিন্তু মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়দের অংশটি মনে করছে, দ্বিতীয় কৌশলটি একটি অকার্যকর কৌশল হতে যাচ্ছে। তাঁরা একে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংলাপের সঙ্গে তুলনা করে বলছেন, অনেক প্রত্যাশা নিয়ে সংলাপে যাওয়া হয়েছিল কিন্তু সংলাপে যাওয়ার পর কিছুই অর্জিত হয়নি। বিএনপির এই অংশটির ধারণা, মনোনয়ন দেওয়ার পরে একটি বড় অংশ হয়তো মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চাইবে না। তখন ধানের শীষ বিএনপির হাতছাড়া হয়ে যাবে এবং এমন একটি নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে জিতে সরকার নিজেকে আরেকবার বৈধতা দেওয়ার সুযোগ পাবে।

দলের শীর্ষনেতাদের এই মতবিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিএনপির স্থায়ী কমিটি। তবে কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আন্দোলন আমরা করবোই। যেহেতু বিএনপি একটি বড় দল তাই আন্দোলনের কৌশল এবং আন্দোলনের ধরন নিয়ে দলে মতভিন্নতা থাকতেই পারে। এ ব্যাপারে আমরা আলোচনা করবো। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার তাই আমরা করবো এবং বাংলাদেশে আরেকটি একতরফা নির্বাচন আমরা হতে দেবো না।’

শেষ পর্যন্ত বিএনপি হয়তো অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনে অংশ নেবে। কিন্তু গতকালের বৈঠকের পর একথা নিশ্চিত যে, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে বিএনপির একটি চিন্তাভাবনা আছে। তবে আন্দোলন সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত তফসিল ঘোষণার পরই চূড়ান্ত করা হবে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘মাই ম্যান’দের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে নীরব বিপ্লব

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা এবং ওবায়দুল কাদেরের সুস্পষ্ট ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের তৃণমূলে রীতিমতো জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক উপজেলায় এ সিদ্ধান্তের পক্ষে বিজয় মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, এটি মাই ম্যানদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং দল বাচানোর জন্য একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ।

আওয়ামী লীগে দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রী-এমপিদের দাপটে দলে ত্যাগী এবং বঞ্চিত নেতারা কোণঠাসা অবস্থায় ছিলেন। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর মন্ত্রীরা এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য রীতিমতো রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের বহু নেতা অভিযোগ করেছেন যে, মন্ত্রী-এমপিরা এখন দলের অন্য কোন নেতাকেও রাখতে দিচ্ছিলেন না। তারা সবসময় চেষ্টা করছেন যে, পরিবারের লোকজনকেই বিভিন্ন পদ পদবী দিতে।

একাধিক নেতা বলছেন যে, রূপগঞ্জের কথাই ধরা যাক, রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান সরকারের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর পুরো রূপগঞ্জকেই যেন দখল করে ফেলেছেন। তার স্ত্রীকে পৌরসভার মেয়র করা হয়েছে, তার ছেলে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে রূপগঞ্জ এখন যেন গাজীগঞ্জে পরিণত হয়েছে। শুধু রূপগঞ্জ একা না এরকম অনেক নির্বাচনী এলাকায় পরিবারতন্ত্র একটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগের তৃণমূল এবং স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা এর বিরুদ্ধে কথা বলতেন না। কথা বললেই তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম হয়রানি করা হতো। তাদের উপর হামলা করা হতো। এখন সেই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় যারা মন্ত্রী-এমপি হয়ে এলাকায় জমিদারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছেন তাদের মূল ক্ষোভের জায়গা হলো তৃণমূল আওয়ামী লীগ। আর এই তৃণমূল আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করা তাদেরকে হটিয়ে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মিশন শুরু হয়েছিল বেশকিছু নির্বাচনী এলাকায়। এখন আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনার ফলে তৃণমূলের মধ্যে একধরনের উত্থান ঘটেছে। এটি নির্বাচনের আবহাওয়া পাল্টে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এখন এই নির্বাচনে যারাই অংশগ্রহণ করুক বা যেই ফলাফলই হোক না কেন, ‘মাই ম্যান’দেরকে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আলাদা পক্ষপাত দিতে পারবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ আওয়ামী লীগ সভাপতি সুস্পষ্টভাবেই নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি সরকারের আনুষ্ঠানিক অবস্থান। এর ফলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা প্রশাসন মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার জন্য আলাদা কোন অবস্থান নিতে পারবেন না। এটির ফলে নির্বাচনে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটি পথ তৈরি হবে।

তবে তৃণমূলের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন যে, এটির ফলে যেটি সবচেয়ে ভালো হয়েছে তা হলো ‘মাই ম্যানরা’ এখন কোণঠাসা থাকবেন এবং যারা স্থানীয় পর্যায়ে তৃণমূলকে উপেক্ষা করতেন তাদের জন্য এটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা।

টাঙ্গাইলে ড. আব্দুর রাজ্জাক, মাদারীপুরে শাজাহান খান, রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজীর মত যারা তাদের এলাকায় পরিবারতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে এখন তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ হবে এবং পরিবারতন্ত্রকে হটানোর ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আওয়ামী লীগ   তৃণমূল   উপজেলা নির্বাচন   রাজনীতি   ড. আব্দুর রাজ্জাক   শাজাহান খান   গোলাম দস্তগীর গাজী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যে থাকলে রাজনীতি করতে পারবেন না তারেক?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তারেক জিয়ার যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষ করে অপরাধ বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার এখন তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আবার নতুন করে প্রচেষ্টা শুরু করেছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ড. হাছান মাহমুদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর পরই এ বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে এ ব্যাপারে তৎপর হওয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। তার এই নির্দেশনা অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আবার নতুন করে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করছে এবং তারেক জিয়ার ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানতে চাচ্ছে।

তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার অঙ্গিকার আওয়ামী লীগ ৭ জানুয়ারী নির্বাচনেই করেছে। সেই অঙ্গিকার বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লীগ তার চেষ্টা এবং তৎপরতা নতুন করে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এরকম বাস্তবতায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারা কুক বিএনপির তিন নেতাকে ডেকেছিলেন এবং তাদের কাছে এ মনোভাবগুলো জানান।

বিট্রেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো এখন চাইছে যে, তারেক জিয়ার রাজনীতির নেতৃত্বের অবসান ঘটুক। তিনি বিএনপিতে কোন অলঙ্কারিক পদ গ্রহণ করুক। যেন তিনি উপদেষ্টা বা দলের পৃষ্টপোষক হতে পারেন। কিন্তু দলের নির্বাহী দায়িত্ব যেন তিনি পালন না করেন সে ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো থেকেও বিএনপির উপর এখন একধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, একাধিক কারণে পশ্চিমা দেশগুলো এরকম মনোভাব ব্যক্ত করছে। প্রথমত, পশ্চিমা দেশগুলো অনেক নীতি নির্ধারণী বিষয়ে যখন মতামত জানতে চান তখন বিএনপি নেতারা এই মতামত দিতে পারেন না। কারণ সব কিছুর জন্য তারা তারেক জিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকেন। লন্ডনে তারেক জিয়া যে নির্দেশ দিবে সে নির্দেশ পালন করা যেন তাদের একমাত্র কাজ। ফলে কূটনৈতিকরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন।

দ্বিতীয়ত, তারেক জিয়ার এখন সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত থাকাটা সংগঠন এবং গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কারণ, একজন দন্ডিত ব্যক্তি কখনোই একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকতে পারেন না এবং থাকা উচিত নয়। এরককম বাস্তবতা থেকে তারেক জিয়াকে রাজনীতির মূল নেতৃত্বের বাইরে রাখার জন্য যুক্তরাজ্য প্রস্তাব করছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, তারেক জিয়া একজন রাজনৈতিক আশ্রয় লাভকারী হিসেবে যুক্তরাজ্যে গত ১৬ বছর ধরে অবস্থান করছেন। আর রাজনৈতিক আশ্রয় লাভকারী কোন ব্যক্তিকে যুক্তরাজ্য রাখে মানবাধিকার এবং জীবনের অধিকার সুরক্ষার স্বার্থেই। তারেক জিয়া বাংলাদেশে এলে তার জীবন হুমকি হতে পারে, তিনি প্রতিহিংসার স্বীকার হতে পারেন, একারণেই ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রাখতে পারেন। কিন্তু ব্রিটেনে থেকে যদি তিনি অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলেন বা কাজ করেন, একজন রিফিউজি হয়ে যদি তিনি অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন- সেক্ষেত্রে সেটি হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এখন তারেক জিয়া সেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জাড়িত তা অনেকে মনে করে। আর এ কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তাছাড়া সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি এখন সামনে এসেছে তা হলো, তারেক জিয়া একধিক মামলায় দন্ডিত হয়েছেন এবং এ মামলাগুলো হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে। আদালতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্যই তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফেরত আনা জরুরী বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।


আওয়ামী লীগ   বিএনপি   তারেক জীয়া   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কঠোর শেখ হাসিনা: সিদ্ধান্ত না মানলে সব হারাবেন মন্ত্রী-এমপিরা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। শুধু কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেই তিনি ক্ষান্ত হননি। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করারও শাস্তিমূলক হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। আর এ কারণে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একের পর এক বৈঠক করছেন এবং মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যাতে উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেন সে জন্য সতর্ক বার্তা ঘোষণা করছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বলছেন, ওবায়দুল কাদের যা বলছেন তা হলো শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতির বক্তব্যের অনুরণন। আওয়ামী লীগ সভাপতি যেভাবে তাকে নির্দেশনা দিচ্ছেন সে বক্তব্যই তিনি প্রচার করছেন। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা যেন সারা দেশে আওয়ামী লীগের কোন কোন এমপি-মন্ত্রী এবং নেতাদের স্বজনরা প্রার্থী আছেন তার তালিকা তৈরি করেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৩ টি বিষয়ের প্রতি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রথমত, কোন মন্ত্রী-এমপি কিংবা প্রভাবশালী নেতা তার নিকট আত্মীয় বা স্বজনকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করাতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করতে পারবে না। তৃতীয়ত, কোন মন্ত্রী এমপি উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রশাসন বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে হাত মেলাতে পারবেন না। এই ৩ টির কোন একটির যদি ব্যত্যয় হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাচনের ৩ ধাপে যে তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষনা করেছে। তার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৭ জন মন্ত্রী এমপির স্বজনরা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। ২য় ধাপে প্রার্থীতার সংখ্যা আরো বেশি হওয়ার কথা। এখানে ১৫২ টি উপজেলার মধ্যে ৮৭ জন মন্ত্রী-এমপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করার আগ্রহ জানিয়েছে, যারা মন্ত্রী-এমপিদের নিকট আত্মীয়। আর ৩য় ধাপে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০-২৫০ জন মন্ত্রী-এমপির আত্মীয় স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছেন। এখন যদি তারা নির্বাচন থেকে সরে না দাড়ান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে?

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলছেন, আগামী ৩০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, এই বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তবে সিদ্ধান্ত হবে ধাপে ধাপে। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে প্রার্থী দিবেন তাদেরকে প্রথমত, দলের পদ হারাতে হবে। দ্বিতীয়ত, আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদেরকে কালো তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে। তৃতীয়ত, যারা মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী আছেন, তারা মন্ত্রীত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, শেষ পর্যন্ত কেউ যদি দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হটকারী অবস্থান গ্রহন করে, তাহলে দল থেকে বহিষ্কারের মতো আওয়ামী লীগ গ্রহণ করতে পারে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র মনে করছে।

তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছেন। এ ব্যাপারে তিনি কোন ছাড় দেবেন না। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কালো তালিকায় যদি থাকেন, তাহলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হতে বাধ্য।   


শেখ হাসিনা   উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মন্ত্রী-এমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে বিএনপির কেন্দ্র ও তৃণমূলে তোলপাড়

প্রকাশ: ০৪:২৩ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিবে না। আর যদি দলটির কোনো নেতাকর্মী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি বহিষ্কারও করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

তবে দলের এমন কঠোর হুঁশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপি’র নেতারা। তারা মনে করছেন, যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না, সে কারণে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করা উচিত হয়নি দলের। বরং এই নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থীরা দাঁড়ালে তাদের শক্তি সামর্থ্য হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির কেন্দ্র ও তৃণমূলের মধ্যে চলছে তোলপাড়। বাড়ছে দ্বন্দ্ব এবং দূরত্ব। বর্তমানে যেসকল নেতাকর্মীরা নির্বাচনের মাঠে রয়েছে তাদের নির্বাচন থেকে ফেরানো নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন বিএনপি’র নীতিনির্ধারকেরা। তারা মনে করছেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীদের ফেরানো না গেলে পরের ধাপগুলোতে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে, আর তাতে দলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।

আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। এই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ। এরই মধ্যে এই নির্বাচনে বিএনপির ৪৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বিএনপির তৃণমূলের একাধিক নেতা বলছেন, জাতীয় আর স্থানীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের জনপ্রিয়তা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবেন। এতে বিএনপির অনেক নেতার সম্ভাবনা আছে জেতার।

অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আশা করে বসে আছেন যে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিলের আগেই সবাই ভোট থেকে সরে দাঁড়াবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক জানান, কেউ যদি দলের নির্দেশনা অমান্য করেন তাহলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাদের দাবি এ নির্বাচন হচ্ছে ‘প্রহসনমূলক নির্বাচন’।

কিন্তু কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সারা দেশের নেতাকর্মীদের অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যারা বিগত সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তারা নির্দলীয় ব্যানারে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। আর যেহেতু তারা স্বতন্ত্রভাবেই নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন সেজন্য লন্ডন বা দলের কেন্দ্রীয় মহলের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় থাকছেন না।

নির্বাচনে আগ্রহী ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ যুবদলের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে এবং তাদের সংঘবদ্ধ করতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন অংশ নিলে বহিষ্কারও করতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে ত্রিশাল উপজেলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করছি, তাদের সঙ্গে কথা বলছি। তবে জনগণ চায় আমি নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের প্রতিনিধি হই।

এছাড়াও ত্রিশাল উপজেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার শাদাত বলেন, আমার বাবা বিএনপি থেকে ত্রিশালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। আমার বাবার ইচ্ছা ছিল আমিও জনপ্রতিনিধি হই। তার ইচ্ছাতেই বিএনপির সঙ্গে আছি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। দলীয় সিদ্ধান্তে বহিষ্কার করলেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে জনগণের সেবা করতে চাই। যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় কোনও প্রতীক থাকবে না, সেই বিবেচনা থেকে আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে দলের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার জন্য এবার তিনি চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দুবারের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলাল বলেন, তৃণমূলের অনেক নেতাই নির্বাচন করতে আগ্রহী।

বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পরপরই উপজেলা নির্বাচন বিএনপিকে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। নির্বাচনে অংশ না নিলে মাঠপর্যায়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল নেতাদের ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক মাসুদুল আলম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে তিনি জানান, আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত। তার পরও অনেক সময় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্থানীয় মতামতে ভিন্নতাও আসে। আমরা স্থানীয়ভাবে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু হয়। বিএনপি ২০২১ সালের মার্চের পর থেকে সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। বরং দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের অনেক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এর আগেও সিটি করপোরেশন বা ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তা সত্ত্বেও দলটির তৃণমূলের অনেক নেতা অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দেড় শতাধিক প্রার্থী বিজয়ীও হয়েছেন।


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   তৃণমূল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনের সময় কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ: কাদের

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময়  ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’। 

মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। 

নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে। 


ওবায়দুল কাদের   উপজেলা নির্বাচন   সেতুমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন