নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ০৫ নভেম্বর, ২০১৮
প্রথমবার সংলাপের এক সপ্তাহ না পেরোতেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আবার সংলাপে বসছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল রোববার ঐক্যফ্রন্টের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আবার সংলাপের জন্য ৭ নভেম্বর বেলা ১১ টায় সময় দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী গতকাল রোববার রাতে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবার সংলাপে বসার কথা জানিয়েছেন।
ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, গত ১ নভেম্বর রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপের পর বেশ কয়েকবার বৈঠকে বসেছে ঐক্যফ্রন্টে নেতারা। আর এসব বৈঠকের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে সংলাপের বিষয়টি এসেছে। জানা গেছে, এবারের সংলাপে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচনের দাবির বদলে তিনটি বিকল্প প্রস্তাব করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
১. মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রপতির অধীনের নির্বাচনের প্রস্তাব দেবে ঐক্যফ্রন্ট।
২. প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাই থাকবেন। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকারে প্রধানমন্ত্রী পদটি হবে নিষ্ক্রিয় একটি পদ।
৩. রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।