নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩০ পিএম, ০৫ নভেম্বর, ২০১৮
সর্বশেষ জরিপে একক ভাবে ১৭৩টি আসন এবং মহাজোটগত ভাবে ২০২ আসনে জয়ের পূর্বাভাস পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজস্ব টিমের উদ্যোগে পরিচালিত সর্বশেষ জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে বিএনপির ৮৩ টি আসন জয় লাভের সম্ভাবনার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ১৫ টি আসনে ভালো অবস্থানে আছে বলে জরিপে পূর্বাভাস করেছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, মনোনয়ন ঘোষণার আগে এটাই আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পরিচালিত শেষ জরিপ। নির্বাচনে আগে, সবগুলো নির্বাচনী এলাকায় আরেক দফা জরিপ হবে বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে। সর্বশেষ জরিপে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রাপ্তির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও অন্তত ৯২ টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আরও ৫৭ টি আসনে কোন্দল বন্ধ না করলে বিপদের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। সে হিসেবে আওয়ামী লীগের সংশয় মুক্ত নিশ্চিত আসন নিশ্চিত আসন মাত্র ৫৩ টি। অন্যদিকে, বিএনপির এরকম আসন ১৯ টি।
জরিপে যে ৫৩ট আসনে আওয়ামী লীগ জিতবেই, সেগুলো হলো:
১. পঞ্চগড়-২, ২. দিনাজপুর-১, ৩. দিনাজপুর-২, দিনাজপুর-৪, ৫. দিনাজপুর-৫, ৬. নীলফামারী-২, ৭. রংপুর-৬, ৮. গাইবান্ধা-২, ৯. গাইবান্ধা-৫, ১০. নাটোর-৩, ১১. সিরাজগঞ্জ-১, ১২. সিরাজগঞ্জ-২, ১৩. মাগুরা-২, ১৪. নড়াইল-১, ১৫. নড়াইল-২, ১৬. বাগেরহাট-১, ১৭. বাগের হাট-২, ১৮. বাগের হাট-৩, ১৯. পটুয়াখালী-২, ২০. পটুয়াখালী-৩, ২১. ভোলা-১, ২২. ভোলা-৪, ২৩. জামালপুর-১, ২৪. জামালপুর-৩, ২৫. ময়মনসিংহ-১, ২৬. ময়মনসিংহ-১০, ২৭. নেত্রকোনা-১, ২৮. নেত্রকোনা-৫, ২৯. কিশোরগঞ্জ-১, ৩০. কিশোরগঞ্জ-৪, ৩১. কিশোরগঞ্জ-৬, ৩২. মানিকগঞ্জ-২, ৩৩. ঢাকা-৩, ৩৪. ঢাকা -৭, ৩৫. ঢাকা-১, ৩৬. ঢাকা-১২, ৩৭. গাজীপুর-১, ৩৮. গাজীপুর-২, ৩৯. গাজীপুর-৩, ৪০. গাজীপুর-৪, ৪১. নারায়ণগঞ্জ-৪, ৪২. রাজবাড়ী-১, ৪৩. রাজবাড়ী-২, ৪৪. গোপালগঞ্জ-১, ৪৫. গোপালগঞ্জ-২, ৪৬. গোপালগঞ্জ-৩, ৪৭. মাদারীপুর-১, ৪৮. শরীয়তপুর-৩, ৪৯. ফেনী-২, ৫০. চট্টগ্রাম-৭, ৫১. কক্সবাজার-৪, ৫২. পার্বত্য রাঙ্গামাটি, ৫৩. পার্বত্য বান্দরবন।
কোন্দলে জর্জরিত যে ৫৭ টি আসন সম্পর্কে সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো:
১. পঞ্চগড়-১, ২.ঠাকুরগাঁও-১,৩.লালমনিরহাট-১,৪. জয়পুরহাট-১, ৫.বগুড়া-১,৬.চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১,৭.চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩,৮.রাজশাহী-১, ৯.নাটোর-৪,১০. পাবনা- ১, ১১.পাবনা -৪,১২.কুষ্টিয়া -২, ১৩.কুষ্টিয়া-৩, ১৪. ঝিনাইদহ-১,১৫.যশোর-৩,১৬. যশোর-৬, ১৭. খুলনা -১, ১৮.খুলনা-৪, ১৯. সাতক্ষীরা-৩, ২০.বরগুনা -১,২১.পটুয়াখালী -৩, ২২.বরিশাল-৪, ২৩.ঝালকাঠি-১, ২৪. পিরোজপুর-১, ২৫. টাংগাইল-৩, ২৬. জামালপুর-৫, ২৭.শেরপুর-২, ২৮.ময়মনসিংহ-৫, ২৯. নেত্রকোনা-৫, ৩০.কিশোরগঞ্জ-২, ৩১.মানিকগঞ্জ-১, ৩২.মানিকগঞ্জ-৩, ৩৩.মুন্সীগঞ্জ-২, ৩৪.ঢাকা-১, ৩৫.ঢাকা-৪, ৩৬.ঢাকা-১৩, ৩৭.ঢাকা-১৪, ৩৮.ঢাকা-১৭, ৩৯.ঢাকা-১৯, ৪০.নরসিংদী-৫, ৪১.নারায়ণগঞ্জ-১, ৪২.মাদারীপুর-৩, ৪৩.শরীয়তপুর-২, ৪৫.সুনামগঞ্জ-২, ৪৬.সিলেট-১,৪৭.কুমিল্লা-৪, ৪৮.কুমিল্লা-৭, ৪৯.চাঁদপুর-৩,৫০.ফেনী-১, ৫১.লক্ষ্মীপুর-৪, ৫২. চট্টগ্রাম-১১, ৫৩.চট্টগ্রাম-১৫, ৫৪.কক্সবাজার-১,৫৫.কক্সবাজার -২, ৫৬. কক্সবাজার-৩, ৫৭. পার্বত্য খাগড়াছড়ি।
মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বশেষ জরিপটি মনোনয়ন বোর্ডের সামনে থাকবে বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।