নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ০৬ নভেম্বর, ২০১৮
দলীয় গঠনতন্ত্রের ৭ নং ধারা বিলুপ্ত করে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দলের নেতৃত্বে থাকতে পারবে মর্মে জমা দেওয়া বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ৩১ অক্টোবর বিএনপি কর্মী মোজাম্মেল হোসেনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই রায় দেয়। ইসি ইতিমধ্যে আদালতের এই নির্দেশটি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইসি বিএনপিকে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে যে চিঠি জমা দিয়েছিল তা গ্রহণযোগ্য নয় এবং ৭ নং অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপন করে আগের গঠনতন্ত্র বহাল রাখতে হবে জানিয়ে দলটিকে একটি চিঠি দেবে। এই চিঠির ফলে বিএনপির রাজনীতিতে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আসবে।
নিয়মানুযায়ী, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকেই নিবন্ধনের জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। নিবন্ধনের জন্য দলগুলোকে ইসির কাছে সভাপতি, চেয়ারম্যান, মহাসচিব, সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নাম উল্লেখ করে কমিটির সদস্যদের তালিকা পাঠাতে হয়।
ইসি যে মুহূর্তে আদালতের নির্দেশ প্রতিপালন করে চিঠি দেবে সে মুহূর্তে বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ নং অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপিত হবে। এই অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া দুজনই দলের নেতৃত্ব হারাবেন। তখন বিএনপিকে নতুন নেতৃত্বের তালিকা নির্বাচন কমিশনে দিতে হবে। আর ইসির চিঠি পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবেই খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়াকে দলটির নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে হবে। তখন বাধ্যতামূলকভাবে নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার জন্য বিএনপিকে নতুন নেতা এবং কমিটির নাম ইসিতে জমা দিতে। অন্যথায় ইসি প্রয়োজনে বিএনপির নিবন্ধনও বাতিল করতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।