নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৫ পিএম, ০৬ নভেম্বর, ২০১৮
নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৮ নভেম্বর ঘোষিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতিতে একটি সংলাপের ধারা সৃষ্টি হয়েছে। সংলাপকে কেন্দ্র করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশায় বুক বাধছে দেশবাসী। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে যখন শান্তির সুর, মনোনয়ন পাওয়াকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও বিভক্তির বাতাবরণ। পাবনা- ১ আসনেও বিভক্তি ও দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
পাবনা-১ আসনটি জাতীয় সংসদের ৬৮নং আসন। সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেংগা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটলা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকার ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬৭ জন।
অতীতে এই আসনে বিএনপি-জামাতের আধিপত্য ছিল। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর মতিউর রহমান নিজামী, ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ৭ম নির্বাচনে বিএনপির মেজর (অব.) মনজুর কাদের, ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও জামাতের মতিউর রহমান নিজামী এই আসন থেকে জয়লাভ করেন। এরপর ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামাতের দূর্গে হানা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শামসুল হক টুকু এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯৪ টি ভোট পেয়ে প্রায় ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর মতিউর রহমান নিজামীকে পরাজিত করেন। নিজামী পান ১ লাখ ২৩ হাজার ৪টি ভোট। সেবারের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থীই দাঁড়ায়নি। বর্তমানে পাবনা- ১ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি আওয়ামী লীগের শামসুল হক টুকু।
টানা দুবার পাবনা- ১ আসন থেকে নির্বাচিত অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এবারও আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। তাঁর পাশাপাশি এই এলাকার মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের আরেক ডাকসাইটে নেতা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এবং সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদের নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শামসুল হক টুকু আবু সাইয়িদকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হন। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আবু সাইয়িদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। ওই নির্বাচনে সাইয়িদ ও তাঁর সমর্থকেরা টুকুর বিরুদ্ধে ভোট ডাকাতির অভিযোগ করেন। তাই নির্বাচনে জয়ী হলেও টুকুকে মন্ত্রী করা হয়নি। এ খবরে সাইয়িদ সমর্থকেরা উল্লসিত হন। এ ঘটনায় সাইয়িদ সমর্থকেরা এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন বলেও জানা গেছে। আবার মিষ্টি বিতরণের ঘটনায় টুকুর পক্ষের লোকজন উল্লাসকারীদের যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক বলে অভিহিত করেন। কারণ তাঁদের দাবি, এলাকার যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে টুকুর মন্ত্রিত্বের প্রয়োজন ছিল। এ ঘটনা থেকেই শামসুল হক টুকু এবং আবু সাইয়িদের মধ্যকার দ্বন্দ্বে আঁচ টের পাওয়া যায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে টুকু ওসাইয়িসের সমর্থক-কর্মীদের মধ্যেও উত্তাপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য এই দুই প্রার্থী গণসংযোগের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন সভাসমাবেশ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে। তাঁদের পোস্টার-ব্যানারও চোখে পড়ছে এলাকাজুড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত পাবনা- ১ আসন থেকে আবু সাইয়িদ ও শামসুল হক টুকুর মধ্যে কে মনোনয়ন পাবেন তা জানার জন্য আমাদের আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।