নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ০৬ নভেম্বর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা সংলাপে বসেছেন। আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে গণভবনে শুরু হওয়া এই সংলাপে আরও আছেন আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের নেতারা। সংলাপের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বামদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের ঐতিহাসিক সম্পর্কে কথা স্মরণ করেন। বিশেষ করে দেশের মুক্তিযুদ্ধে সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বামরা যে ভূমিকা রেখেছিল সেই কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যে ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন, সেখানে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট ভূমিকার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ৭৫’র ১৫ আগস্টের পর কমিউনিস্ট পার্টি বঙ্গবন্ধু হত্যার যে প্রতিবাদ করেছিল সে কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির বন্ধণের কথা বলেন।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফরহাদের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সঙ্গে আমরা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছিলাম। আজ যখন আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, যখন আমি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন বামরা কেন আমার থেকে দূরে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাঝে মাঝে কষ্ট লাগে। কিছু কিছু বাম নেতা যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতা বিরোধীদের ভাষায় কথা বলেন। এটি অত্যন্ত দুখ:জনক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ। আর সবসময়ই বামদের আমরা পাশে পেয়েছি। এখন বামদের কী হলো? আমি বুঝতে পারিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সবসময় মনে করি যারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ করতে চায়, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ করতে তাদের মধ্যে কমিউনিস্ট পার্টিসহ অন্যান্য বাম দলগুলো অন্যতম। তারা একই আকাঙ্ক্ষার সহযাত্রী। প্রাধানমন্ত্রী বলেন, তারা যখন বিভ্রান্ত হন, তখন আমি কষ্ট পাই।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।