নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৭ নভেম্বর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে রীতিমতো ধরাশায়ী হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রশ্নের একটিরও উত্তর দিতে পারলেন না এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ। আজ বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপে রীতিমতো নকআউট হন ড. কামাল হোসেন। অথচ কদিন আগেই তিনি বলেছিলেন ‘এক মিনিটেই’ তিনি সংকটের সমাধান দিতে পারবেন। কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রী পাঁচ প্রশ্নের একটিরও সদুত্তর দিতে পারেননি ড. কামাল। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নগুলো ছিল এরকম:
১. জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট দাবি করে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। এই দাবির বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড. কামাল হোসেনের কাছে জিজ্ঞেস করেন ‘আপনি তো ৭২ এর সংবিধানের প্রণেতা। ৭২ সংবিধানে কি সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচনের বিধান ছিল?’ এর জবাবে ড. কামাল ছিলেন নিশ্চুপ।
২. জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে দ্বিতীয় দাবি ছিল, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার। সংবিধানের ১২৩ (খ) প্রয়োগ করে, সংসদ ভাঙার ৯০ দিন পর নির্বাচনের দাবি উত্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে আবার ড. কামাল হোসেনের কাছে জানতে চান, সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সংসদ এখন নিষ্ক্রিয়। এখন কোনো সাংবিধানিক বিধানে সংসদ ভাঙা যায়?’ ড. কামাল এ প্রশ্নের উত্তরে মাথা নিচু করে থাকেন।
৩. জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তৃতীয় দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রী থাকবে। কিন্তু ১০ সদস্যের একটি উপদেষ্টামণ্ডলী দেশ চালাবে। প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, এই উপদেষ্টামণ্ডলী কারা ঠিক করবে? উত্তরে ড. কামাল বলেন, আমরা সবাই মিলে ঠিক করবো। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের কাছে জানতে চান, আমাদের সংবিধানে কোথায় আছে এরকম উপদেষ্টাদের দিয়ে দেশ চালানো যায়? এবারও নিরুত্তর ড. কামাল হোসেন।
৪. জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়, বেগম জিয়াকে যেন নির্বাচনের আগে জামিন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের কাছে জানতে চান, ‘রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ কি একজনকে আটক ব্যক্তিকে জামিন দিতে পারে?’ তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘এটা কি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে?’ এবারও ড. কামাল নিশ্চুপ থাকেন।
৫. জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়ার দাবি জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি দেওয়া সংবিধানের পরিপন্থী কিনা? এবারও ড. কামাল মাথা নিচু করেন।
প্রধানমন্ত্রীর যুক্তির কাছে, প্রজ্ঞার কাছে এভাবেই ধরাশায়ী হন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট। প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেন, ‘আপনারা সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আমি সাধারণ মানুষ। আমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝান, সংবিধানসম্মত সব দাবি আমি মেনে নেবো।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।