নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ০৮ নভেম্বর, ২০১৮
গণভবনে গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসেছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ঐক্যফ্রন্টের ১১ নেতার মধ্যে শরিক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন। বেলা সোয়া ১১ টা থেকে দুপুর সোয়া দুইটা পর্যন্ত দীর্ঘ তিনঘণ্টা সংলাপ চলে। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে কিছুটা অসুস্থ মনে হলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন।
সংলাপ চলাকালেই বিএনপি মহাসচিবকে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনাকে এমন লাগছে কেন?’ ফখরুল বলেন, ‘আমি অত্যন্ত অসুস্থ। হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছি।’ প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবেই জিজ্ঞেস করেন, কোথায় চিকিৎসা করাচ্ছেন? চিকিৎসা কেমন চলছে? উত্তর ফখরুল তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে কিছু তথ্য জানান। সব শুনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘না, আপনার চিকিৎসা তো ঠিকমতো হচ্ছে না। আপনার চিকিৎসা ঠিকমতো হওয়া দরকার। ঠিক আছে আপনি চিন্তা করবেন না, চিকিৎসার বিষয়টি আমি দেখবো।’
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটে। দুপুর সোয়া দুইটায় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ শেষ হয়। গতকালই আবার ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক ছিল। আর দাপ্তরিক কাজের তো শেষ নেই। এরপরও প্রধানমন্ত্রী মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের বিষয়টি ভুলে যাননি। গতকাল রাতেই একান্ত ব্যক্তিগত একজন কর্মকর্তাকে ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যগত সমস্যার বিষয়ে সব কাগজপত্র যোগাড় করতে বলেন তাঁকে।
যে বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত বলে প্রমাণিত, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা ও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড হয়েছে, সেই বিএনপি মহাসচিবের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এমন উদগ্রীব হলেন!
বিএনপি মহাসচিবের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদগ্রীব দেখে অনেকেরই বিস্মিত হন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে যাঁরা চেনেন তাঁরা মোটেই বিস্মিত হননি। কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনই। চরম শত্রুকেও তিনি আতিথেয়তা করতে ভোলেন না। চরম শত্রুরও স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর মানবতাবোধ, ঔদার্যতা, দরদি হৃদয়ে চরম শত্রুরও স্থান হয়। চরম শত্রুকেও মানবিক সহায়তায় কুণ্ঠিত নন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই অকুণ্ঠ ভালোবাসার জন্যই তো আজ তিনি পুরো বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতার আসনে আসীন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।