নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৮ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এরই মধ্যে দিয়ে মন্ত্রিসভার ক্ষমতা সীমিত হয়ে গেলো। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাবান রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশন। কার্যালয়ের রুটিন ওয়ার্কের মধ্যে সীমিত দায়িত্ব পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশাসনের রদবদল এবং নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রদবদল, পুলিশ প্রশাসনের রদবদল কোনো কিছু্ই এখন আর মন্ত্রিসভার কাছে থাকছে না। সব কিছুই নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ীই করতে হবে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খু্বই কম। তবে একটা সময় রাষ্ট্রপতি অনেক ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন, সেটি হলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর। নির্বাচন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির কর্তৃত্বে চলে যায়। নির্বাচন কমিশন হলো সরাসরি রাষ্ট্রপতির অধীনে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করেই নির্বাচন কমিশন সকল দায়িত্ব পালন করেন। কাজেই, রাষ্ট্রপতি হলো বর্তমানে সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি।
বর্তমান সময়ে দ্বিতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তি হলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ঘিরেই নির্বাচন কমিশন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দেশের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত থাকবে। মাঠ প্রশাসনের দায়িত্বও থাকবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ ছাড়া কোনো পদোন্নতি বা বদলি করা যাবে না। তাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনে কিভাবে কাজ করবে, সেটার ওপরই নির্ভর করবে সবকিছু।
বর্তমান সময়ে তৃতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তিটি হলেন পুলিশের প্রধান আইজি। পুলিশের পুরো প্রশাসনকে নেতৃত্ব দেন আইজি। কাজেই, পুলিশের আইজির ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নির্বাচনের সময় দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকতে হয়।
নির্বাচনে ক্যাবিনেট সচিব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্যাবিনেট সচিবের মেয়াদ শেষ হচ্ছিল আগামী ১৩ ডিসেম্বর। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই তাঁর মেয়াদ চুক্তিভিত্তিক ১ বছর যোগ করা হয়েছে। অবশ্য এ নিয়ে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তাদের মধ্যে আপত্তি দেখা দিয়েছে। বিকল্পধারা ও জাতীয় পার্টি ইতিমধ্যেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত সকলকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠকে তারা এই দাবি জানায়।
এছাড়াও নির্বাচনে বিডিআর, সেনাবাহিনীর ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ করে, তাহলেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।