নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩১ পিএম, ০৯ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে গতকাল (৮ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার। আজ সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ফর্ম বিক্রী শুরু করেছে। এই নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্রথম মনোনয়ন ফর্মটি কেনা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রথম মনোনয়ন ফর্মটি কেনেন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ। তিনি মনোনয়ন ফর্ম কিনে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।
গণভবন সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন। পাশাপাশি সেই সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন অত্যান্ত কঠিন নির্বাচন হবে। আমি নিশ্চিত বিএনপি এখানে অংশগ্রহন করবে। নির্বাচন অতি প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ হবে। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, , ‘আমরা যতটা সহজ মনে করেছি এবারের নির্বাচন ততটা সহজ নাও হতে পারে। কারণ বিএনপি ভিতরে ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে।’
তিনি জনগনের উপর আস্থা রেখে বলেন,‘ আমি সবসময় জনগনের অধিকারে বিশ্বাস করি। জনগনের রায় ও মতামতে বিশ্বাস করি। জনগন যদি আমাদের ভোট দেয় তাহলে আবার আমরা ক্ষমতায় আসবো। দেশের সেবা করতে পারবো। যদি ভোট না দেয়, তাহলে আমরা বিরোধী দলে হিসেবে সংসদে থাকবো।’
তবে তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগকে যদি নির্বাচনে জয়ী হতে হয়। তাহলে তিনটি কাজ অবশ্যই আওয়ামী লীগকে করতে হবে।
প্রথমত, আওয়ামী লীগের ভিতরে যত কোন্দল আছে। সেগুলো কাটিয়ে উঠে নির্বাচন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, যে প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে। সেই প্রার্থীর পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে।
তৃতীয়ত, নৌকা মার্কায় যে দেশে উন্নয়ন হয়েছে দেশের এবং বিএনপি-জামাত জোট আমলে যে দুঃশাসন বা অনিয়ম হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরতে হবে।
এই তিনটি কাজ যদি আওয়ামী লীগ সঠিকভাবে করতে পারে। তাহলে আওয়ামী লীগের জয় সুনিশ্চিত। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের প্রার্থীতা নিয়ে অনেক তথ্য- উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। অনেক জরিপ করেছি। কাজেই আমরা যাকে নমিনেশন দিবো তার বিরুদ্ধে যদি কেউ দাঁড়ায়, তবে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন,‘ ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারে না। সমস্যা হয় তখনই যখন আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে দ্বন্ধ বিবেদে জড়ায়। যদি সমস্ত মত-ভেদ পাওয়া না পাওয়ার দ্বন্ধ ভুলে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারে। তাহলে জয় আওয়ামী লীগের সুনিশ্চিত।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি ড. মঈন খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।
অবশেষে জিয়া পরিবার মুক্ত হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কবে, কখন, কীভাবে এ পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কে কেউ কোন সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারেনি। তবে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপিতে পরিবর্তনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলেও দায়িত্বভার না নিতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ চার আইনজীবীকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। তবে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দেন বিএনপিপন্থি এ আইনজীবী নেতা।