নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৬ এএম, ১০ নভেম্বর, ২০১৮
মাত্র দেড় মাস পরই অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনয়ন পত্র বিক্রি শুরু করেছে। বিক্রির প্রথম দিনেই ঢাকা- ১৭ বলে পরিচিত গুলশান আসনের জন্য সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন পত্র কিনেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। ফলে গুলশান আসনটি পরিণত হয়েছে এবারের নির্বাচনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আসনে।
গুলশান আসনে গতকাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনয়ন কিনেছেন ১৭ জন। এর মধ্যে আছেন একসময়কার বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও। তিনি গতকাল আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান লে. জে. (অব.) হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও গুলশান আসনে মহাজোটের হয়ে প্রার্থী হতে আগ্রহী। এছাড়া আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং নামীদামী ব্যক্তিও এই আসন থেকে পার্থী হতে আগ্রহী বলে জানা গেছে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপি এখনও নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। তবে তারাও এই আসনে ভিআইপি কোনো প্রার্থী দেবে বলে নিশ্চিত করেছে দলটির একাধিক সূত্র। এছাড়া লে. জে. হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাবেক পিএস ববি হাজ্জাজও তাঁর নতুন দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) হয়ে এই আসনে প্রার্থী হতে চাইছেন।
আওয়ামী লীগের ১৭ মনোনয়ন প্রত্যাশীর ভিড়ে গুলশান আসনে শেষ পর্যন্ত কে মনোনয়ন পায় সেটিই এখন দেখার বিষয় বলে মনে করছে দেশের রাজনৈতিক মহল।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।