নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার আসনগুলোর মনোনয়নে ব্যাপক রদবদল ঘটাতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক কৌশল মোকাবেলার অংশ হিসেবে এই আসনগুলোতে রাজনীতিবিদের বদলে তারকা ব্যবসায়ী বা সেলেব্রেটিদের মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার ২০টি আসনে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজনের মনোনয়ন নিশ্চিত। এরা হলেন শেখ ফজলে নূর তাপস, আসাদুজ্জামান জামান খান কামাল এবং সাবের হোসেন চৌধুরী। এছাড়া বাকি ১৭টি আসনেই আনকোড়া নতুন মুখ আসতে পারে, যারা রাজনীতির বাইরের জগতের মানুষ।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, ঢাকার আসনগুলোতে বড় ব্যবসায়ী ও ভিআইপি প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি একরকম চূড়ান্ত। কারণ বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের সঙ্গে তারা নির্বাচন করছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টুকে আওয়ামী লীগের ঢাকা কেন্দ্রিক নির্বাচনী রাজনীতির জন্য দুশ্চিন্তার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই মোস্তফা মহসিন মন্টু। এছাড়া পুরো ঢাকা শহরও তাঁর নখদর্পণে। তাছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকায় এবার তারা নামীদামী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবে। এসব কারণে আওয়ামী লীগের ভোটের হিসাব-নিকাশ সব পাল্টে যাচ্ছে এবং বিএনপিকে টেক্কা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগও ঢাকার আসনগুলোতে রাজনৈতিক নেতাদের বদলে ভিআইপি প্রার্থী দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।
অতীতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যবসায়ী আনিসুল হককে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল সম্পূর্ণ চমক হিসেবে। এবারও আওয়ামী লীগ এমন চমকই দেখাবে তা মোটামুটি নিশ্চিত। ঢাকায় নির্বাচনে জিততে গেলে রাজনীতিবিদের বদলে আনিসুল হক বা সাবের হোসেন চৌধুরীদের মতো ডাকসাইটে ব্যবসায়ী প্রয়োজন এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।