ইনসাইড পলিটিক্স

ছোট দলের বড় চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার মধ্যে দিয়ে নিশ্চিত হলো এবার আর ২০১৪ এর মতো নির্বাচন হবে না। সব দলের অংশগ্রহণের একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে এবার। বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ই নির্বাচনে এসেছে। তবে দুই দলের কোনোটিই একক ভাবে নির্বাচন করছে না। জোটবদ্ধ ভাবে নির্বাচন করছে দুটি দলই। আর এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি। কিন্তু আওয়ামী কাদের নিয়ে নির্বাচনে যাচ্ছে তা এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। আগে থেকেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ছিল। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১৪ দলের বাইরেও অন্যান্য দল নিয়ে জোটের অবয়ব আরও বড় করতে চাইছে আওয়ামী লীগ। এই মধ্যে জামাত এবং ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের ছোট ছোট দলগুলো নিয়ে বড় একটি জোট করেছে বিএনপি। তাই আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের মতে, আওয়ামী লীগও ১৪ সহ অন্যান্য দলগুলো নিয়ে জোটের আকার যত বড় করতে পারবে ততই শক্তিশালী হবে অবস্থান। আর এ কারণেই নাজমুল হুদার তৃণমূল পার্টিসহ বাম অনেক দলকে সঙ্গে নিয়ে জোট বড় করার উদ্যোগ নিয়ে আগাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

জোট বড় হলে যেমন জোর বাড়ে তেমনি সমস্যারও আমদানি হয়। অনেক দল নিয়ে জোট করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপি উভয় দলই চাপে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ছোট ছোট দলগুলো ভোটের বাজারে তাদের কদর বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে। ছোট দলগুলোর উপলব্ধি হলো, আওয়ামী লীগ বিএনপি উভয়ই নির্বাচন করছে। আর উভয় দলেরই একার পক্ষে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা আছে। আর শঙ্কা কাটিয়ে নির্বাচনে জয়ের পাল্লা ভারি করতেই ছোট দলগুলোকে তাদের কাছে ভিড়াতেই হবে। সুযোগ বুঝে ছোট দলগুলোও তাদের রেট বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর এই রেট হলো নির্বাচনের আসন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) হাসানুল হক ইনু সর্বোচ্চ ৫ টি সিট দাবি করতেন। কিন্তু এখন রেট বাড়িয়ে ইনু সিট চাচ্ছেন অন্তত ১৫টি। এসব আসন নিয়ে তারা জিততে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা আছে। আবার তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করবে নৌকা প্রতীক নিয়ে। এদিকে ১৪ দলের আরেক শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি কিছুদিন আগেও ৫ টি সিট দাবি করতো। এখন তা বাড়িয়ে ১৫ তে গেছে। জাসদের আরেক ভগ্নাংশ শরিফ নূরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন। তারা আওয়ামী লীগের কাছে কিছুদিন আগেও ৩ টি আসন দাবি করতো। এখন বলছে তাদের অন্তত ১০ টি আসন ছেড়ে দিতে হবে। আওয়ামী লীগের জোট করতে গিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিকে (জাপা) নিয়ে।

আওয়ামী লীগের মতে, শেষ পর্যন্ত বিএনপি যদি নির্বাচনে থাকে এবং নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক হয়, তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের জন্য তাদের জাতীয় পার্টিকে নেওয়ার বিকল্প নাই। জাপাও বিষয়টি ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে। এতদিন ধরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে ৪০-৫০ আসন নিয়েই দরকষাকষি হচ্ছিল। এখন জাতীয় পার্টি চাচ্ছে ৭০ আসন। এর কয়টিতে তারা জিততে পারবে তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। আবার, ৭০ আসন দিলেও যে জাপা বিশ্বাসঘাতকতা করবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সব পেলেও জাপা যে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের জোটেই এর কোনো গ্যারান্টি নেই। কারণ জাতীয় পার্টির অতীত ইতিহাসই বলে তারা বাতাস বুঝে চলে। নির্বাচনের বাতাস যেদিকে যায়, সুযোগ বুঝে সেদিকেই যায় জাপা। তাই আসন ছাড়ের পরও জোটে জাপাকে নিয়ে বিপদ রয়েই যায়।

জোটের শরিক নিয়ে আওয়ামী লীগ যেমন বিপদে আছে, তেমনি বিএনপির বিপদ কম না। বিএনপির জোটের শরিকরা ভালোই বুঝতে পেরেছে, দলটিকে টিকে থাকতে হলে জোটের বিকল্প নাই। একা বিএনপি নির্বাচনে কিছুই করতে পারবে না। যে দল অন্য দলের নেতাকে ভাড়া করে নেতা বানানোর জন্য, সেই দল যতই জনপ্রিয় হোক একা নির্বাচন করার মতো সক্ষমতা নাই। বিএনপির বিপদ বুঝে তাদের জোটের শরিকরাও রেট বাড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি আলোচিত জোট ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক ও বড় দল বিএনপি। ঐক্যফ্রন্টের দলগুলো মূলত এক ব্যক্তি নির্ভর দল। এক ব্যক্তি নির্ভর এসব দলের জাতীয় নির্বাচনে দু-তিনটির বেশি আসন পাওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কিন্তু এরপরও ঐক্যফ্রন্টের ‘ওয়ান ম্যানে’র দলগুলো একের পর এক দাবি করে চলেছে। আজই ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে একটি তালিকা ধরিয়ে দিয়েছেন। ১০ জনের তালিকার ব্যক্তিদের বিএনপির মার্কায় নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবি ড. কামালের। এছাড়াও গণফোরাম থেকে আরও ১০ জনের আসন দাবি করেছেন তিনি। এদিকে ঐক্যফ্রন্টের আরেক দল নাগরিক ঐক্য। দলটির নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ছাড়া কোনো নেতাকর্মী বা সমর্থক কখনো দেখা যায়নি। মান্না ছাড়া নাগরিক ঐক্যের দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তিকে মানুষ চেনেও না জানেও না। অথচ মাহমুদুর রহমান মান্নাও আজ ১০ জনের আসন চেয়েছেন। জাসদের এক ভগ্নাংশ জেএসডি, যার নেতৃত্বে আ. স. ম. আবদুর রব। তিনি ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া রবকে ছাড়া দলটির কাউকেই কখনো দেখা যায় না। অথচ আবদুর রবও দিয়েছেন ১৫ জনের নামের তালিকা। বিএনপি আরেক ঘর ২০ দলীয় জোটের শরিকরাও কম যান না। মান ভাঙ্গিয়ে ঘরে ফেরানো এলডিপির কর্নেল অলি আহমেদ এখন ১৫ টি আসন দাবি করেছেন। অন্যান্য দলগুলো কোনোটিই পাঁচটি কম আসন চায়নি। আর প্রতীক ও দলহীন জামাতকে ১২ টি আসন ছেড়েই দিতে হবে বিএনপির।

জোটের আবদার পুরোপুরি পূরণ করতে গেলে দেখা যায় আওয়ামী লীগ বিএনপি নিজেদের আসন নিয়েই সংকটে পড়ে। জোটের সব শরিককে খুশি করলে আওয়ামী লীগের নিজের আসন থাকবে ৭০ টি। একই ভাবে বিএনপি সব শরিককে খুশি করলে আসন থাকবে মাত্র ৫০টি। এখন ভোটের রাজনীতির এই পরিবর্তিত বাজারে শরিকদের তুষ্ট রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ শরিকদের অসন্তুষ্ট করলে এর ফলাফল পড়বে সরাসরি ভোটের ওপর। তাই কেউ চায়না শরিকদের অসন্তুষ্ট করতে। আবার শরিকদের সন্তুষ্ট করতে গেলে নিজ দলেই থাকে না। এমন টানাটানির মধ্যে দলগুলো কীভাবে শরিকদের খুশি রাখবে সেটাই বড় বিষয়।

আবার আওয়ামী লীগ বিএনপি উভয় দলের মধ্যেও তো চাপ আছে। দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, যাঁরা এত বছর ধরে এলাকায় কাজ করছে, খরচ করছে তারাও তো মনোনয়ন চায়। তাদের বাদ দিয়ে জোটের শরিকদের আসন দিলেও তারাও নিশ্চয় ছেড়ে কথা বলবে না। দলগুলোর জোটের জটিল হিসেব নিকেশ কীভাবে মিটবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোট ছাড়াই তারা চেয়ারম্যান হচ্ছেন

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী  ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।

এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।

তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।



উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপতৎপরতা সফল হবে না: নানক

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, একটি কুচক্রি মহল বরাবরের মতো এখনো দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাদের এ অপতৎপরতা সফল হবে না। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) গুলশানের এসকট প্যালেস হোটেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত Leo Tito L. Ausan Jr. রচিত " Sleepless in Dhaka and Other Poems" শীর্ষক কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আজ বাংলাদেশকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। তারা বিচার বিশ্লেষণ করছে কিভাবে ছোট এই দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন সম্প্রতি মার্কিন একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে আটলান্টিক কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কিত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

মন্ত্রী নানক বলেন,  বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিদেশীদের মাঝে যে আগ্রহ আছে ফিলিপাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব লিও অসাম এর কবিতার বই প্রকাশ তার প্রমাণ। তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, তার সম্পর্কে জানতে। সেখানে সব কিছু দেখে তার যে উপলব্ধি তা তিনি কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কেও জেনেছেন এবং তা তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। বাংলাদেশে মাত্র একবছর সময়কালে আহসান মঞ্জিলসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেছেন। ঢাকায় রিক্সা দেখে একে ঢাকার ঐতিহ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জর্জ হ্যারিসন এবং পন্ডিত রবি শংকরসহ যারা বিশ্ববাসীর সমর্থন পেতে সাহায্য করেছেন তাদেরকেও তিনি কবিতার মাধ্যমে স্মরণ করেছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেমন কবিতা লিখেছেন তেমনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়েও কবিতা লিখেছেন। আমার ভালো লেগেছে রাষ্ট্রদূত লিও পাট থেকে তৈরি স্যুট পড়েছেন এবং কবিতার ভাষায় তা প্রকাশ করেছেন। আপনার জানেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি পাট ও পাটজাত পণ্যের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের জলবায়ু পরিবর্তন কমিশনের মন্ত্রী রবার্ট ই. এ. বোরজে, বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক কেবিনেট সচিব মোশাররফ হোসাইন ভুইয়া, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মিশন প্রধান, কূটনীতিকসহ বাংলাদেশের মিডিয়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার সমাবেশ স্থগিত করল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ সমাবেশ করার কথা ছিল দলটির।

সোমবার (২২ এপ্রিল) পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

তিনি বলেন, ২৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ পুলিশ অনুমতি দেয়নি। যার কারণে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।

এর আগে দুপুরে তীব্র দাবদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।


শান্তি সমাবেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পলক ম্যাজিক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জুনাইদ আহমেদ পলক টানা তিনবারের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতিতে তার পদ পদবী তেমন নেই। রাজনীতিতে এখনও তিনি তরুণ এবং পিছনের সারির নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সময়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। কখনও বিতর্কিত হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার পরীক্ষা হলো এবার এবং সেই পরীক্ষায় তিনি শুধু কৃতকার্যই হননি, এ প্লাস পেয়েছেন বলেও অনেকে মনে করছেন। 

জুনাইদ আহমেদ পলক তার শ্যালককে এবার সিংড়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী করেছিলেন। শুধু প্রার্থী করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, তার বাড়িতে বৈঠক করেছিলেন এবং বৈঠকে তিনি তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব যেন বিজয়ী হতে পারে সেজন্য নির্বাচনী পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। অন্য কোন প্রার্থীরা যেন নির্বাচনে প্রার্থী না হয় সে জন্য এক প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগও উঠেছিল। সবকিছু মিলিয়ে তরুণ জুনাইদ আহমেদ পলকের রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু পলক প্রমাণ করলেন যে, বয়সে তরুণ হলেও তিনি রাজনীতির মাঠে একজন পরিপক্ব খেলোয়াড়। তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে জয় করেছেন এবং ম্যাজিক দেখিয়ে রাজনীতিতে তার যাত্রাপথকে শুধু মসৃণ করেননি, তিনি যে পরিপক্ক রাজনীতিবিদ হিসেবে বিকাশমান তা প্রমাণ করেছেন। 

পলকের শ্যালক যখন একজন প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় যুক্ত হয়ে যায়, তখন একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তিনি বেশ কিছু দূরদর্শী বিচক্ষণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। প্রথমত তিনি যারা ওই অপহরণ ঘটনার সময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন তাদেরকে হাসপাতালে দেখতে চান, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানান এবং তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, যারা অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত এবং তারা তার ভাই, চাচা, মামা, খালা, শ্যালক যেই হোক না কেন, তারা আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এই বক্তব্যটি তার নড়বড়ে অবস্থানকে কিছুটা সবল করে এবং সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে যে, পলকের মধ্যে এখনও রাজনৈতিক বোধ আছে। তিনি এখনও বিবেকহীন ক্ষমতা লিপ্সু হয়ে পড়েননি। কিন্তু তখনও অনেক চমক অপেক্ষা ছিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগের দিন পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। বিষয়টি ছিল রীতিমতো চমক এবং এমন এক সময় জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক এই সিদ্ধান্ত নেন যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। 

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এই ঘোষণার পর অনেক হেভিওয়েট নেতা যখন তাদের স্বজনদের প্রার্থী করার জন্য শেষ মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন, নানারকম অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন ঠিক সেই সময় জুনাইদ আহমেদ পলক অন্যরকম একটি অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি দলীয় সভানেত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখান এবং তার শ্যালক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এটির মাধ্যমে পলক যে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের আরও আস্থাভাজন হলেন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শুধু নীতি নির্ধারকদের আস্থাভাজন হননি পলক, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি যে রাজনৈতিক ভাবে দূরদর্শী, পরিপক্ক এবং সুদূর প্রসারী চিন্তা করেন তা প্রমাণ করেছেন।

স্থানীয় পর্যায়ের নেতা জুনাইদ আহমেদ পলক এই একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে যাবেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। রাজনীতিতে মাঝে মাঝে একটি সিদ্ধান্ত মানুষকে অমরত্ব দেয়। আবার একটি সিদ্ধান্ত তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে হুমকির মুখে ফেলে। পলকের এই সিদ্ধান্ত তাকে রাজনীতিতে একটি উজ্জ্বল আসন দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে তিনবারের প্রতিমন্ত্রী থাকার পর যখন অনেকে তার রহস্য খোঁজার চেষ্টা করছিলেন তখন জুনাইদ আহমেদ পলক এই ম্যাজিক দেখিয়ে প্রমাণ করলেন রাজনীতিতে তিনি পরিপক্ক। তিন বার প্রতিমন্ত্রী থাকার জন্য তিনি যথেষ্ট যোগ্য। 


জুনাইদ আহমেদ পলক   নাটোর   তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন