ইনসাইড পলিটিক্স

একানব্বইয়ের পথেই হাঁটছে আ. লীগ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত তিন ধরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিক্রি  করছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ব্যান্ড পার্টি, সানাই, ব্যানার ফেস্টুন, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, পিকআপ গাড়ি নিয়ে দলে দলে মিছিল সহকারে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। এমন অবস্থা দেখে অনেকের মনে হতেই পারে যে, এই নির্বাচন একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। নির্বাচন হলেই আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতারাও বলছে, যে কোন উপায়ে আওয়ামী লীগের একটা নির্বাচন করার টিকিট পেলেই কেল্লাফতে। তাঁরা নিশ্চিত যে তাঁরা এমপি হবে এবং এরপর দেন-দরবার করে মন্ত্রীও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলীয় জোট ভোট করার ঘোষণা দিল, তখনো কি ভোটের হিসেব নিকেশ একই রকম থাকবে, সেই প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে।

আওয়ামী লীগের আত্মবিশ্বাস বর্তমানে অতি আত্মবিশ্বাসে রূপ নিয়েছে। তাঁরা ধরেই নিয়েছে যে, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা মনে করছেন, যেকোনো ভাবে একটা মেকানিজম বা যাই হোক না কেন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থেকে নামাতে পারবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই বডি ল্যাংগুয়েজ, আওয়ামী লীগের এই অতি আত্মবিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতাদের মনোনয়ন পাওয়ার মরণপণ লড়াই দেখে অনেকের দৃশ্যপটে ১৯৯১ সালের স্মৃতি ভেসে উঠছে।

নব্বই সালে গণ আন্দোলনে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন হয়। স্বৈরাচার এরশাদ পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর সবাই ধরেই নিয়েছিল যে, বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় একটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। তখন বিএনপি ছিল একটা অগোছালো দল। সেই নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ টি আসনে প্রার্থী পর্যন্ত যোগাড় করতে পারে নাই। বিএনপি ২৯২ টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছিল। অনেক আসনে তাঁরা চেয়ে চিনতে প্রার্থী দিয়েছিল। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দুই সচিব প্রয়াত কেরামত আলি এবং প্রয়াত এমকে আনোয়ার, একজন ছিলেন কেবিনেট সচিব আরেকজন ছিলেন জনপ্রশাসন সচিব। এরশাদের ঘনিষ্ঠ থাকায়, এরশাদের পদত্যাগের পর তাঁদের দুজনকেও পদত্যাগ করতে হয়। পদত্যাগের পর তখন ‘আরপিও’ও তে নিয়ম ছিল না যে, তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন করতে পারবে না। তখন এই দুই সচিব নিজেদের গাঁ বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগের দরজায় টোকা দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘যেহেতু তিন জোটের রূপ রেখার  মধ্যে আছে যে, এরশাদের সহযোগীকে নেওয়া হবে না, আপনারা এরশাদের সহযোগী কাজেই আমি আপনাদেরকে নিতে পারবো না। আওয়ামী লীগের অনেক ক্যান্ডিডেট তাই বাইরের লোকের নেওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’ এরপর তাঁরা গেল বিএনপিতে। বিএনপি তখন ঐ এলাকাগুলোতে কোনো প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছিল না। প্রার্থী খুঁজে না পাওয়ার কারণে তাঁদের দুজনকেই মনোনয়ন দেওয়া হল। তাঁরা দুজনই বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হলেন এবং মন্ত্রী হলেন। একানব্বই সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার সময় বিরোধ এবং অন্তঃকলহের সূচনা হয়েছিল। সে সময় প্রতি আসনে গড়ে ৫/৭ জন মনোনয়ন কিনেছিল। মনোনয়ন পত্র কেনার পর তাঁরা তাঁদের এলাকায় নিজেদের মত করে শোডাউন করেছিল। সেই সময় পুরো দল নিজদের মধ্যেই বিভক্ত হয়ে পরেছিল। এরপর যখন নির্বাচনের হয়েছিল, তাঁরা সেই বিভক্তি কাটিয়ে উঠতে পারে নাই  এটা একানব্বই সালে নির্বাচনে পরাজয়ের এক নম্বর কারণ। 

নব্বইয়ের নির্বাচনে পরাজয়ের দুই নাম্বার কারণ হলো, সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ধরেই নিয়েছিল তাঁরা নির্বাচনে জয়ী হবেন। নির্বাচনের পর তাঁরা কে কোন মন্ত্রণালয়য় নিবে সেই ভাগ বাটোয়ারা করার চেষ্টা করেছিল। তাঁরা নির্বাচনে বিষয়ে মনযোগী না হয়ে, ক্ষমতায় গিয়ে কে কি করবে এটা নিয়ে তাঁরা ব্যস্ত ছিল।

পরাজয়ের তৃতীয় কারণ হল, পতিপক্ষকে আওয়ামী লীগ চরম অবমূল্যায়ন করেছিল। তাঁরা মনে করেছিল তাঁরা কোনো ভাবেই জিততে পারবে না।

সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মানুষের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন নাই। প্রতিটা ভোটার যে মূল্যবান, ভোটের ক্ষেত্রে জনগণই যে প্রকৃত ক্ষমতাবান এই বোধটা তাঁদের মধ্যে লোপ পেয়েছিল। এ কারণে একানব্বইয়ের নির্বাচনে একটা বিস্ময়কর ফলাফল হয়েছিল। জনগণ নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করেছিল। ঐ নির্বাচনে অভাবনীয় ভাবে বিএনপি জয়ী হয়েছিল।

বর্তমানে আমরা যদি ২০১৮ সালের প্রেক্ষাপট মিলিয়ে দেখি, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যেভাবে ট্রাক, বাস, পিকআপ ভাড়া করে জন ভোগান্তির সৃষ্টি করে মনোনয়নপত্র কিনছেন, গড়ে প্রতি আসনে প্রায় ১৭ জন করে মনোনয়নপত্র কিনছেন। তাহলে আওয়ামী লীগের কি মনোনয়নের বিষয়ে নূন্যতম কোনো কাজ হয় নাই মনোনয়ন বিষয়ে? আমরা যতটুকু জানি আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটি, উপজেলা কমিটি, জেলা কমিটি আছে, এই  কমিটিগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কে কে মনোনয়নপত্র কিনবেন সেই সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। যে নির্বাচনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠিন চ্যালেঞ্জের নির্বাচন বলছে। যে নির্বাচনকে তাঁদের দলের সভাপতি বলছে, এই নির্বাচন আমাদের জন্যে অগ্নি পরীক্ষা, সেই নির্বাচনে কেন একেকটা আসন থেকে ১৭/১৮ জন করে প্রার্থী হবে। এটাতো আওয়ামী লীগের জন্য ভালো লক্ষণ না। বরং তাঁরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেরা বসে ঠিক করতো আমাদের দিক থেকে উনি প্রার্থী, আমাদের পক্ষ থেকে অমুকজন প্রার্থী, সেইটা তাহলে একটা শোভনীয় বিষয় হতো। একেক আসনে এতজন মনোনয়ন কেনা এটা একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলের নিজেদের মধ্যে যে বিতর্ক, বিরোধিতা বা প্রতিযোগিতা তা হবে ঘরের ভিতরে আলোচনার টেবিলে। এভাবে মনোনয়ন ফরম কিনে একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আওয়ামী লীগের একজন আরেকজনকে ধরাশায়ী করতে ব্যস্ত। নির্বাচনের মাঠে গিয়ে তাঁরা কি বলে জনগণের কাছে ভোট চাইবে, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কি বলবে, কাদের যোগ্যতার কথা তুলে ধরবে সেই বিষয়ে কারোও কোনো মাথা ব্যথা নেই। বরং তাঁরা আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থী আরেক প্রার্থীর দোষ খুঁজে বের করতে ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে। যার ফলে ভোটের মাঠে জনগণ একটা ভুল বার্তা পাচ্ছে। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণার ফলে দেখা যাচ্ছে যেই পরবর্তীতে নমিনেশন পাক না কেন, তাকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পরতে হবে।

আওয়ামী লীগের নেতারা ধরেই নিয়েছে যে তাঁরা নির্বাচনে জিতে যাচ্ছে এবং তাঁরা আবার ক্ষমতায় যাচ্ছে। ক্ষমতায় গিয়ে কে কোন মন্ত্রণালয়ে যাবে, কাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে এসমস্ত বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার ফলে আওয়ামী লীগের যারা দীর্ঘদিনের নেতা, যারা আওয়ামী লীগের দুর্দিন এবং খারাপ সময়ে ছিল, তাঁরা মনে করছে আওয়ামী লীগ কি একানব্বই সালের মত ভুল করছে। শুধু একানব্বই সালেই নয় ২০০১ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের এই প্রবণতাগুলোই দেখা গিয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিয়েছিল, আওয়ামী লীগ মনে করেছিল প্রশাসন তাকে সহযোগিতা করবে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সহযোগিতা করবে। কিন্তু যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। তখন দেখা গেল প্রশাসন আওয়ামী লীগের পক্ষে নাই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগের পক্ষে নাই এবং সমগ্র দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যায় সে সময়। আওয়ামী লীগ যদি ১৯৯১ সাল এবং ২০১১ সাল থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনই, এই নির্বাচন যে তাঁদের জন্যে কঠিন চ্যালেঞ্জের নির্বাচন, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন তা যদি মাথায় না নেয়, তাহলে তা আওয়ামী লীগের জন্য খুব ভাল পরিণতি অপেক্ষা করবে না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটাই সত্যি যে একমাত্র আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়া কারও মধ্যে এই উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা এবং তাগিদ আমরা এখন পর্যন্ত দেখছিনা।

বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনটি দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের অবস্থান হলো খুব সুস্পষ্ট। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে যাব না। তার মতে, এই কারণেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তবে বিএনপির সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে দুই শতাধিক বিএনপির প্রার্থী এখন নির্বাচনের মাঠে। প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪ জন ছাড়া কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সংহত বলেও জানা গেছে। আর এ কারণেই বিএনপি ইউটার্ন নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরেও বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপি এক্ষেত্রে অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছে বলেই দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তবে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলছেন যে, বিএনপি পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উপযুক্ত সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও ওই নেতা অভিমত ত্যক্ত করেছেন। 

বিএনপির আশা ছিলো স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় হয়তো বিএনপির নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার বিপরীত। প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং তৃতীয় দফাতেও আনুপাতিক হারে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি এবং যে সমস্ত এলাকায় নেতারা যত বেশি জনবান্ধব তারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন, সংগঠন রক্ষা করা এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই তারা দলীয় সিদ্ধান্তকে এখন তোয়াক্কা করছে না। 

অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অনুধাবন করছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠোর হয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বিএনপির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে কোন কোন উপজেলায় যদি বহিষ্কার করা হয় তাহলে ওই এলাকাটি বিএনপি শূন্য হয়ে যাবে। এ কারণেই বিএনপি এখন তাদের সিদ্ধান্তকে পুনঃমূল্যায়ন করছে। কেউ কেউ বলছেন যে, বিএনপি ইউটার্ন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সব সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নেবে তা জানার এখতিয়ার বিএনপির ঢাকার কোন নেতার নেই। লন্ডন থেকে কি বাণী আসে তার অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেঁচে যাচ্ছেন রাজ্জাক, ফেঁসে যাচ্ছেন শাজাহান খান

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাচনে কোন্দল বিভক্তি এবং আধিপত্য ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই নির্দেশনার মধ্যে সবচেয়ে বড় নির্দেশনা ছিল মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কয়েক দফা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা একমাত্র প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ছাড়া কেউই মানেননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিষয়টি বরদাস্ত করা হবে না এবং আগামী ৩০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তার কঠোর মনোভাবের কথা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের যারা সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর এরকম ব্যবস্থা যদি শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছেন। গতকাল তাকে এ ব্যাপারে ইঙ্গিতও দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে শাজাহান খানকে ভর্ৎসনা করেছেন বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।

অন্যদিকে ড. রাজ্জাক তার খালাতো ভাইকে প্রার্থী করলেও এই যাত্রায় তিনি বেঁচে যাচ্ছেন। কারণ আওয়ামী লীগ আত্মীয়স্বজনদের ব্যাপারে যে নীতিমালা গ্রহণ করেছে তাতে বলা হচ্ছে যে, যদি কোন স্বজন আগে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকেন তবে তার প্রার্থী হতে কোনও অসুবিধা নেই। আগে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন ড. রাজ্জাকের খালাতো ভাই। কাজেই এবার তিনি প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি নীতির আওতায় পড়বেন না। আর এ কারণেই তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বলেও জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, যে সমস্ত প্রার্থীরা আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন তারা এবার প্রার্থী হবেন। এমনকি তারা কোন নেতার স্বজন হলেও প্রার্থী হতে অসুবিধা নেই। এই বিবেচনায় ড. রাজ্জাক এ যাত্রায় বেঁচে যাচ্ছেন।

তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়গুলোকে ইতিবাচক ভাবে নেননি। হয়তো তিনি সরাসরি শাস্তির হাত থেকে বাঁচবেন, তবে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত এই সিদ্ধান্তে কতটা উজ্জ্বল হবে সেটি সময়ই বলে দেবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন