নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ১২ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ঘিরে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান লে. জে. (অব.) হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছিলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটের আকারে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। কিন্তু যে মুহূর্তে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং নিশ্চিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের একসঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া, তখনই জাতীয় পার্টির মহাজোটে যোগদান নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। মনোনয়ন বোর্ড মহাজোটের ব্যাপারে জাতীয় পার্টির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকলেও তাদের কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি দলটি। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের কাল রাতে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আসন্ন নির্বাচন ও সমঝোতার ব্যাপারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ হয়েছে তাঁর। যেহেতু বিএনপির কাছে এবারের নির্বাচনটি তাঁদের অস্তিত্বের প্রশ্ন তাই বিএনপি যথাসম্ভব ত্যাগ স্বীকার করে সর্বোচ্চ সংখ্যক দল নিয়ে নির্বাচন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ থেকে আলাদা করার কৌশল নিয়েছে তারা।
জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ চিরদিনই সুযোগসন্ধানী হিসেবে পরিচিত। প্রত্যেকবারই নির্বাচনের সময় তিনি একটি করে নাটক করেন। সে ধারাবাহিকতায় এবারও নাটক করার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। শেষ পর্যন্ত এরশাদের দল মহাজোটে যাবে নাকি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে গিয়ে চমক দেখাবে নাকি একদমই অভাবিত কিছু করবে সেটিই দেখার বিষয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এরশাদের শেষ চাল দেখার জন্য জনতাকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন