নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১২ নভেম্বর, ২০১৮
গত ৬ নভেম্বর, চার মন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। টেকনোক্র্যাট এই মন্ত্রীরা হলেন -ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, ঐ দিন সন্ধ্যায়ই মন্ত্রী ক্যাবিনেট ডিভিশনে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেয়। ক্যাবিনেট ডিভিশন প্রধানমন্ত্রীর আওতাধীন। অবশ্য এরপরও মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালন করছেন। প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা দায়িত্বে থাকছেন বলেই জানা গেছে।
সংবিধানের ৫৮’র ১ এর (ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনো মন্ত্রীর পদ শূন্য হবে যদি, তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।’ এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, একজন মন্ত্রী তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দিলে, সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর বলে গণ্য করা হবে। প্রজ্ঞাপনের কোনো বিধান সংবিধানে উল্লেখ নেই। সে অনুযায়ী, গত ৬ নভেম্বরই ৪ মন্ত্রীর পদত্যাগ পত্র কার্যকর হওয়ার কথা। মন্ত্রী হিসেবে তারা এখনো যে দায়িত্ব পালন করছেন এবং এই সময়ের মধ্যে কোনো ফাইলে যদি তারা স্বাক্ষর করে থাকেন তবে সেটি সংবিধানের লঙ্ঘন করা হবে বলে মনে করছেন একাধিক সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।
সংবিধানের ৫৮’র ২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী যে কোন সময় কোনো মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে অনুরোধ করতে পারেন এবং ঐ মন্ত্রী অনুরোধ পালনে অসমর্থ হলে তিনি রাষ্ট্রপতিকে ঐ মন্ত্রীর নিয়োগের অবসান ঘটানোর পরামর্শ দিতে পারেন।’ পরামর্শ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি কার্যকর হওয়ার কথা।
একজন মন্ত্রীর ভূমিকা কোন চাকরি নয়, এটি তাঁর দায়িত্ব। চাকরি এবং দায়িত্বের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। নির্বাচিত হওয়ার পর একজন মন্ত্রী দু’টি শপথ গ্রহণ করে। তাদের মধ্যে একটি হলো গোপনীয়তা রক্ষার শপথ, অপরটি হলো মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের শপথ।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মন্ত্রী হিসেবে তাঁর শপথ ও দায়িত্ব পালনের অবসান ঘটবে। কাজেই, ৬ নভেম্বর পদত্যাগের পর থেকে ৪ মন্ত্রী যে সকল দায়িত্ব পালন করে আসছে, সেগুলো সবই অবৈধ এবং সংবিধানের লঙ্ঘন বলে বেশ কিছু আইনজীবী অভিযোগ করেছেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।