নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫০ পিএম, ১২ নভেম্বর, ২০১৮
কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী বুড়ো শয়তান, আর মাহী বি. চৌধুরী হলো বেয়াদপ। আজ কারাগারে সাক্ষাৎ করতে আসা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে বেগম জিয়া এ মন্তব্য করেন।
আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বেগম জিয়াকে আবার কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আর চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ যাওয়ার আগে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি এই কারাগারেই ছিলেন।
স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে কারাগারে যাওয়া বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন। সাম্প্রতিক জোট নিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা, ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যজোট গঠন এবং বি. চৌধুরীর জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে তাদের মধ্যে কথা হয়। বি. চৌধুরী প্রসঙ্গ উঠতেই বেগম জিয়া রেগে যান। বলেন, বি. চৌধুরী হলো একটা বুড়ো শয়তান। আর তাঁর ছেলে মাহী বি. চৌধুরী একটা বেয়াদপ।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষে যুক্তফ্রন্টের মধ্যে দিয়ে বি. চৌধুরী জোট গঠন করেন। পরে চলতি বছরের শুরুতে বি. চৌধুরীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের দহরম মহরমের বিষয়টি বেশ চোখে পড়ে। এমনকি ইফতার পার্টিতেও বি. চৌধুরী ও মির্জা ফখরুলকে একসঙ্গে চোখে পড়ে। তবে বছরের শেষ ভাগে এসে নির্বাচনের আগে আগে ড. কামালের সঙ্গে বিরোধ দেখা যায় বি. চৌধুরীর। বিএনপির সঙ্গে জামাতের থাকা না থাকা প্রসঙ্গ নিয়ে তৈরি বিরোধের জেরে শেষ পর্যন্ত যুক্তফ্রন্ট ছেড়ে ড. কামালের হঠাৎ সৃষ্ট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টেই যোগ দেয় বিএনপি। তফসিল ঘোষণার চারদিন না পেরোতেই এক্যফ্রন্ট-যুক্তফ্রন্ট উভয়ই নির্বাচনে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের শরিক হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণার পর আজই প্রথম বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিএনপি নেতারা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন