নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১২ নভেম্বর, ২০১৮
‘এখানেই থেমো না বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে মূল উপজীব্য করেই এবার নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশে গত এক দশকে যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা’, তা সমাপ্ত করতে আরেকবার ‘নৌকা’ প্রতীকে ভোট চাইবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, তাদের নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত। মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম এইচ. টি. ইমাম বলেছেন, ‘গত এক দশকে’ আমাদের অর্জনগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি সামনের দিনগুলোতে আমরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থির করেছি আমাদের ইশতেহারে।’ আওয়ামী লীগের খসড়া ইশতেহারে ১২ টি মূল বৈশিষ্ট্য এরকম:
১. ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশকে আধুনিক, উন্নত এবং মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সময় নির্দিষ্ট (টাইম বাউন্ড) কর্মসূচি থাকবে ইশতেহারে।
২. বিগত এক দশকে অর্জনগুলো তুলে ধরা হবে। যেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ইত্যাদি।
৩. ২১০০ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে – তাঁর একটি রূপকল্প থাকবে নির্বাচনী ইশতেহারে।
৪. আমার গ্রাম, আমার শহর, প্রতিটি গ্রামকে শহরের সুযোগ সুবিধায় সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা থাকবে নির্বাচনী ইশতেহারে।
৫. ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা থাকবে ইশতেহারে।
৬. দারিদ্রের হার শূন্যে নামিয়ে আনা এবং বৈষম্য হ্রাসের সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে, নির্বাচনী ইশতেহারে।
৭. নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে তরুণদের জন্য একগুচ্ছ উপহার। এর মধ্যে চাকরির বয়সসীমা ৩২ বছর করার প্রস্তাব থাকবে।
৮. মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার থাকবে।
৯. দুর্নীতিকে না। দুর্নীতির ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কথা থাকবে নির্বাচনী ইশতেহারে।
১০. সকল ধর্মের সমানাধিকার এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করা হবে নির্বাচনী ইশতেহারে।
১১. নারীর ক্ষমতায়নের ধারা অব্যাহত রাখা হবে। নারীর জন্য আরও উন্মুক্ত হবে কর্মক্ষেত্র।
১২. জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের রজত জয়ন্তী উৎসবমুখর করার রূপরেখা থাকবে ইশতেহারে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে যে অঙ্গীকার করেছিল তার সবগুলোই পূরণ করেছে। তাই জনগণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে আস্থা রাখবেন বলেই তাদের বিশ্বাস।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।