নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮
যাবজ্জীবন দণ্ড মাথায় নিয়ে লন্ডনে পলাতক জীবনযাপন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী ক্ষণ গণনার মধ্যে দেশে ফেরার বিষয় নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন তিনি।
নির্বাচনের সময় দেশে ফিরলে তাঁকে কী কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে সে বিষয়ে নিজের ব্যক্তিগত তিন আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মীর হেলালকে তিনটি প্রশ্ন করেছেন তারেক জিয়া।
তারেক প্রথমত জানতে চান, দেশে ফিরে আসলে তাঁকে কী করতে হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে তারেকের আইনজীবীরা বলেন, তাঁকে আত্মসমর্পন করতে হবে এবং কারাগারে যেতে হবে। যেহেতু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তাই তাঁর জামিন পাওয়া অত্যন্ত কঠিন হবে। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টে দণ্ডপ্রাপ্ত তারেকের আপিল করার সময়সীমাও শেষ হয়ে গেছে। তাই দেশে ফিরলে কারাগারে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই তারেকের।
এমন উত্তরে তারেক জিয়া জানতে চান, তিনি জেলে গেলে কতদিনে তাঁকে জেল থেকে বের করা যাবে? আইনজীবীরা জানান, এ প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। তারেক জিয়ার জামিন পেতে তিনদিন, পাঁচদিন, এমনকি একমাস সময়ও লাগতে পারে। কিছুই নিশ্চিত নয়।
এরপর আইনজীবীদের তৃতীয় ও শেষ প্রশ্ন করেন তারেক। জানতে চান, তিনি নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দেশে ফিরে আসলে কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে? তখন আইনজীবীরা বলেন, তারেক জিয়ার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দেশে আসাটাই ভালো হবে। কারণ নির্বাচনের আগে আসলে তাঁর জন্য পরিস্থিতি সুখকর হবে তা নিশ্চিত নয়।
তারেক জিয়া এরপর তাঁর দেশে ফেরার প্রক্রিয়া নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। আইনজীবীরা জানান, যেহেতু তিনি রিফিউজি হিসেবে লন্ডনে অবস্থান করছে তাই পাসপোর্ট জমা দেওয়া, না দেওয়া কোনো ইস্যু না। এঁকোটি স্ক্রিপ্ট নিয়েই তিনি দেশে ফিরতে পারবেন।
তবে তারেক জিয়া নির্বাচনের আগে ফিরবেন কি না, আদৌ ফিরবেন কি না, অথবা তাঁর দেশে ফেরার ইচ্ছা আদৌ আছে কি না তা নিশ্চিত নয়। তবে তিনি গত কয়েকদিনে দীর্ঘ সময় আইনজীবীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। এ বিষয়ে তারেকের আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বলেন, অবশ্যই তারেক জিয়া দেশে ফিরবেন। তবে কবে এবং কীভাবে ফিরবেন তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।