নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩২ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮
ঢাকার দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিএনপি থেকে ড. কামাল হোসেনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা- ১০ অর্থ্যাৎ ধানমন্ডি আসন এবং ঢাকা- ১৭ অর্থ্যাৎ গুলশান আসনে ড. কামাল হোসেনকে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার সকালে ড. কামাল হোসেনকে ফোন করে খালেদা জিয়ার এই বার্তা পৌঁছে দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ড. কামালকে জানান, এই আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। ড. কামালকে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ করেন।
মির্জা ফখরুল ড. কামালকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া চাচ্ছেন তিনি যেন ঢাকার দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং এই নির্বাচনে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ঢাকার অধিকাংশ আসনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্রার্থী করার অভিপ্রায়ের কথাও ড. কামাল হোসেনকে জানান।
যদিও ড. কামাল হোসেন আগে জানিয়েছিলেন তাঁর নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছা নেই কিন্তু জাতির স্বার্থে বিরোধী ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন করা জন্য তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপির একাধিক সূত্র।
বিএনপির এই প্রস্তাবের পর ড. কামাল হোসেন মির্জা ফখরুলকে জানিয়েছেন, পার্টির ফোরামে তিনি এই ব্যাপারে আলোচনা করবেন এবং আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।