নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে কোনো প্রার্থী দিতে চান না মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। আজ সকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ড. কামাল হোসেনের প্রস্তাব সমর্থন করেন। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মির্জা ফখরুল মনে করেন, এর ফলে প্রধানমন্ত্রীকে নিরপেক্ষ রাখা একটি উদ্যোগ হিসেবে দেখানো যাবে। বৈঠকে বলা হয়, ঐ আসনে কোনো প্রার্থী না দিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারি যে আপনি নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন। মির্জা ফখরুল একে সমর্থন করে বলেন, এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর প্রচারণা সীমিত রাখার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশে বিদেশে আমরা গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার প্রস্তাব একটি কৌশল। এর ফলে, ঐক্য ফ্রন্টের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীকে নিষ্ক্রিয় করা সহজ হবে। ঐক্য ফ্রন্টের একদল নেতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই আসনে বিএনপি বা ঐক্য ফ্রন্টের জয়ের কোন সম্ভাবনাই নেই। তাই গণতান্ত্রিক সৌহার্দ্যের এক নজির স্থাপন করতে এই প্রস্তাব।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।