নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসের একাধিক কর্মকর্তার কয়েক দফা বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। এসব বৈঠকে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কাছে কয়েকটি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কিছু ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। তবে এসব ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় ভারত। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এখন তাদের নেতা ড. কমাল হোসেনের সঙ্গে ভারতীয় কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছেন। ঐ বৈঠকে এসব প্রশ্নের আনুষ্ঠানিক উত্তর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে সেগুলো হলো:
১. তারেক জিয়ার ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কি? তিনি এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কি বিএনপি নেতাকে বাদ দিয়েছে?
২. দুর্নীতির অভিযোগে দণ্ডিত বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা, বেগম জিয়া ও তারেক জিয়া। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে তাঁদের অবস্থান কি হবে? দুর্নীতিবাজরা কি রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারে?
৩. বিএনপির টিকেট নিয়ে অনেক জামাত নেতা নির্বাচন করবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বলেছিল, তাঁরা জামাতের সঙ্গে ঐক্য করবে না। এটা তাহলে কি?
৪. ২০ দলীয় জোটে অনেক দক্ষিণপন্থী এবং ভারত বিরোধী রাজনৈতিক দল রয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কি তাঁদের নিয়ে ঐক্য করবে?
৫. বিএনপির বিরুদ্ধে অতীতে সন্ত্রাসী এবং ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ ছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেওয়া হবে না- এই শর্তে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে কিনা?
৬. জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কী?
(একাধিক কূটনৈতিক সূত্রের খবরে জানা যায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, আ.স.ম আবদুর রব এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে ভারতের কূটনীতিকরা কয়েকদফা বৈঠক করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রত্যেকেই তাদের নিজেদের মতো করে এ প্রসঙ্গে উত্তর দিয়েছেন। তাদের একজনের বক্তব্য অন্যজনের সঙ্গে পরস্পর বিরোধী। কিন্তু কূটনীতিকরা এ ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানতে চেয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের তিন নেতাই এ নিয়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।